ঘটনা মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের। আউট হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ওয়েড। কাছ দিয়েই তামিম যাচ্ছিলেন নিজের ফিল্ডিং পজিশনের দিকে। তখনই কিছু একটা বলেন তামিম। তার দিকে অনেকটা তেড়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে এগিয়ে যান ওয়েড। তামিম আবার কয়েকবার হাত নাড়িয়ে দেখিয়ে দেন ড্রেসিং রুমের পথ। ওয়েড যান আরও তেতে। ততক্ষণে এগিয়ে যান সাকিবরা। পরে আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে শান্ত হয় পরিস্থিতি।
তামিম কি বলেছেন, আম্পায়ারদের শোনার কারণ নেই। তবে হাত নেড়ে ড্রেসিং রুমের পথ দেখানোতেই বিপত্তি। ম্যাচ শেষে রিপোর্ট করেন আম্পায়াররা।
ওয়েডের ঘটনার আগে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কের ঘটনাও রিপোর্ট করেন তারা। ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ বারবার গ্লাভস বদলানোয় আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ করতে গিয়ে তর্ক করেন তামিম।
ম্যাচ শেষে তামিমকে তলব করেন ম্যাচ রেফারি। তামিম গিয়ে স্বীকার করে নেন নিজের দায়। আনুষ্ঠানিক শুনানির তাই প্রয়োজন পড়েনি।
মিরপুর টেস্টে লড়াইয়ের ভেতর এসব লড়াই উত্তেজনা ছড়িয়েছে বেশ কবারই। বরাবরই স্লেজিংয়ের জন্য পরিচিত অস্ট্রেলিয়া স্লেজিং করেছে দেদার। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম জানান, বাংলাদেশের টেলএন্ডার ও জুনিয়র ক্রিকেটারদেরও রেহাই দেয়নি অস্ট্রেলিয়া।
তবে বাংলাদেশও ছেড়ে কথা বলেনি। কথা আর শরীরী ভাষার লড়াইয়ে জবাব দিয়েছে পাল্টা। বাংলাদেশের কাছ থেকে এভাবে স্লেজিংয়ে পাল্টা আঘাত অস্ট্রেলিয়াকে অনেকটাই চমকে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের নানা সূত্র থেকে।
আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কের ঘটনা যেমন একটি। চতুর্থ দিন সকালে শরীর পুরোপুরি সুস্থ ছিল না ওয়ার্নারের। গ্লাভস বদলানোর অজুহাতে তাই বারবার মাঠে পানীয় নিয়ে ঢুকেছে অস্ট্রেলিয়ানরা। এক পর্যায়ে ৪ ওভারের মধ্যে পানীয় ঢোকে ৭ বার! তামিমসহ দলের অন্যরা গিয়ে তখন আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করেন। অস্ট্রেলিয়ানরা তাতে খেপে যায় আরও।
অস্ট্রেলিয়ার এই দলে সবচেয়ে বেশি স্লেজিং করেন ওয়েড, এটা ক্রিকেট বিশ্বে মোটামুটি ‘ওপেন সিক্রেট’। তবে বাংলাদেশে জবাবও হয় কড়া। দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওয়েডের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি স্লেজিয়ের শিকার হয়েছেন তামিম। তবে ব্যাটের মত মুখেও দারুণভাবে জবাব দিয়ে তামিম চুপসে দিয়েছিলেন ওয়েডকে।
তবে ওয়েড ফিরে যাওয়ার সময় হাত নাড়িয়েই তামিম লঙ্ঘন করে ফেলেন সীমা। তাতেই শাস্তি।
আগে আরও একটি পয়েন্ট থাকায় তামিমের ডিমেরিট পয়েন্ট এখন দুই। গত ১৬ মার্চ শ্রীলঙ্কা সফরে কলম্বো টেস্টে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন তিনি।