সাকিবের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা শিশির

রান দরকার ১৫৬, হাতে তখনও ৮ উইকেট। হয়ে গেছে একটা বড় জুটি। তৃতীয় দিন শেষে মনটা বেশ খারাপ ছিল সাকিব আল হাসানের। সেই দমে যাওয়া মনে প্রাণের ছোঁয়া জাগালেন সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। সাকিবকে বললেন, “তুমি পারবে।” সাকিবের বিশ্বাস ফিরল। সাকিব পারলেন। তাই পারল বাংলাদেশও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2017, 09:26 AM
Updated : 30 August 2017, 03:10 PM

বাংলাদেশের মাথা ব্যথা হয়ে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথের জুটি ভেঙেছেন সাকিব। ফিরিয়েছেন দুজনকেই। মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট। সঙ্গে প্রথম ইনিংসের ৮৪। বাংলাদেশের জয়ের নায়ক আরও একবার সাকিব।

দল আর সতীর্থদের কাছে যিনি নিরন্তর অনু্প্রেরণা, সেই সাকিব মাচ শেষে জানালেন তার অনুপ্রেরণার উৎস।

“আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আমার স্ত্রী। সবসময় অনুপ্রাণিত করতে থাকে। যেমন এখনই ম্যাসেজ পাঠিয়েছে যে, ‘এখন আমি ঘুমাতে পারব’। এই ধরনের অনুপ্রেরণা অনেক কাজে আসে।”

কিভাবে কাজে আসে, সেটির একটি টাটকা গল্পও শোনালেন সাকিব।

“কালকে রাতে যখন কথা বলছিলাম, বললাম যে ‘মনে হয় না সুযোগ খুব একটা আছে। দুইজন ব্যাটসম্যান সেট, রান দেড়শর মতো লাগে।’ কিন্তু ও (স্ত্রী) বলেছে যে ‘তুমি পারবা। তুমি ৫ উইকেট নিয়ে নাও, তাহলেই তো জিতে যাব।”

“আমি তখন চিন্তা করলাম যে ‘আসলেই তো, আমি যদি ৫ উইকেট পেয়ে যাই, দলেরও খুব ভালো সম্ভাবনা থাকে। ওপাশ থেকে আর দুটি উইকেট কেউ পেলেই হবে।’ তো এই বিশ্বাসগুলো আসে, এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।”

তবে বাংলাদেশের আরেকটি বড় শক্তি, অনুপ্রেরণার আরেকটি বড় উৎস, দর্শকদের কথাও বলতে ভুললেন না সাকিব।

“দর্শক যারা এসেছিল আজকে, তাদের কিন্তু বিশ্বাসটা ছিল। ওদের ৮ উইকেট আছে, এরপরও দর্শকদের বিশ্বাস ছিল। ছিল বলেই মাঠে এসেছে। তো দর্শকরা আমাদের ওপর বিশ্বাস করলে আমরা কেন নিজেদের বিশ্বাস করব না?”

“আমরা হয়তো হারতে পারতাম। হয়তো ৬-৭ বা ৫ উইকেটে হারতে পারতাম। তবে চেষ্টা করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই চেষ্টা যে সবাই করেছে, সেটাই সবচেয়ে বড় উদাহরণ যে দলে পরিবর্তন এসেছে।”

বাংলাদেশ দলের সেই পরিবর্তনের ধাক্কাতেই কুপোকাত অস্ট্রেলিয়া।