প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রানে গুটিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ইনিংস ঘোষণা করেছে ৮ উইকেটে ৪৯০ রানে। আগের ইনিংসের বিশাল ঘাটতি পুষিয়েও দিতে পেরেছে ৩২২ রানের লক্ষ্য!
সোমবার শেষ বিকেলে অ্যান্ডারসন-ব্রডের তোপ সামলে কোনো রকমে পার করে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ দিন শেষে রান ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫।
ইংল্যান্ডের ইনিংসটি ছিল ‘দশে মিলে করি কাজ’-এর আদর্শ উদাহরণ। পাঁচশ ছুঁইছুঁই ইনিংসেও নেই কারও সেঞ্চুরি, তবে পঞ্চাশ ছড়িয়েছেন ৬ জন!
আগের দিন মার্ক স্টোনম্যান করেছিলেন ৫২। এদিন হাফ সেঞ্চুরি এসেছে আরও ৫ জনের ব্যাট থেকে।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান বেন স্টোকসের ব্যাটে এবার ৫৮। এরপর যথারীতি দুর্দান্ত ইংল্যান্ডের লোয়ার মিডল অর্ডার। অষ্টম উইকেটে মইন আলি ও ক্রিস ওকস গড়লেন ১১৭ রানের জুটি!
৯৩ বলে ১৪ চারে ৮৪ করেছেন মইন। ১০৪ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ওকস। দুজনের জুটিতে রান উঠেছে ওয়ানডের গতিতে। এমনকি ওকস ও স্টুয়ার্ট ব্রডের নবম উইকেট জুটিতেও দ্রুত গতিতে আসে ৪৬ রান। ইংল্যান্ড অধিনায়ক তাই শেষ বিকেলে পেয়ে যান ইনিংস ঘোষণার সুযোগ।
শেষ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাই ৩১৭ রান। গাণিতিক ভাবে জয় অসম্ভব নয়। তবে শেষ দিনের উইকেটে, ইংলিশ বোলিংয়ের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ানদের জয় তো অনেক দূর, ম্যাচ বাঁচানোই হবে ভীষণ কঠিন!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৫৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪২৭
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ১৪১ ওভারে ৪৯০/৮(ডিক্লে.)(আগের দিন ১৭১/৩) (কুক ২৩, স্টোনম্যান ৫২, ওয়েস্টলি ৮, রুট ৭২, মালান ৬২, স্টোকস ৫৮, বেয়ারস্টো ১৮, মইন ৮৪, ওকস ৬১*, ব্রড ১৪*; গ্যাব্রিয়েল ২/১২৫, রোচ ০/৯৫, হোল্ডার ২/৯৫, চেইস ৩/৮৬, বিশু ০/৬৭, ব্র্যাথওয়েট ০/৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৬ ওভারে ৫/০ (লক্ষ্য ৩২২) (ব্র্যাথওয়েট ৪*, পাওয়েল ১*; অ্যান্ডারসন ০/৩, ব্রড০/১, মইন ০/১)।