মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলছিলেন তার ৫০তম টেস্ট খেলা নিয়ে।
“বাড়তি কোনো রোমাঞ্চ নেই। ৫০তম টেস্ট একটি স্পেশাল মুহূর্ত। আমার পারফরম্যান্স বা দলের পারফরম্যান্স দিয়ে এটাকে আরও বিশেষ করা যায় না কি ওই লক্ষ্য থাকবে।”
২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ডানেডিনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তামিমের। বাংলাদেশ তখন এত কম টেস্ট খেলত যে এক সময়ে তামিমের সন্দেহ হচ্ছিল, আদৌ ৫০ টেস্ট খেলা সম্ভব কি না।
“অভিষেকের সময়, সত্যি কথা কোনো সংখ্যা মাথায় ছিল না। কতগুলো ম্যাচ খেলবো বা এতগুলো ম্যাচ খেলবো এমন কোনো ভাবনা ছিল না। যখন টেস্ট ক্রিকেট শুরু করি তখন মাথায় ছিল, বাংলাদেশের হয়ে যত লম্বা সময় খেলা যায়। ওটাই লক্ষ্য ছিল।”
“একটা সময় সন্দেহ হচ্ছিল, আমরা যেভাবে টেস্ট খেলছি তাতে ৫০টা টেস্ট খেলতে পারবো কি না। এখন টেস্ট বেশি খেলছি আগের তুলনায়। এখন থেকে যাদের অভিষেক হবে তাদের জন্য নাম্বার সেট করা সহজ হবে আমাদের চেয়ে।”
ঢাকা টেস্ট দিয়ে ৫০ ম্যাচের মাইলফলকে পৌঁছাবেন সাকিব আল হাসানও। তামিম জানান, স্মরণীয় কোনো পারফরম্যান্স না হলে এটা শুধুই একটা সংখ্যা হয়ে থাকবে তাদের জন্য।
কিছু দিন আগেও যে কোনো সিরিজের শুরুতে ক্রিকেটারদের জন্য অবধারিত প্রশ্ন ছিল, লম্বা বিরতির পর মানিয়ে নেওয়া কতটা কঠিন হবে। ইদানিং সেই প্রশ্ন আর শুনতে হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে সেই সময়টায় ফিরে গেলেন তামিম।
“একটা সময় অবশ্যই এই ব্যাপারটা ছিল। এটা নিয়ে আমরা ক্রিকেটাররা অনেকবারই কথা বলেছি। আপনি যদি শেষ দুই বছর দেখেন, এই সময়ে খেলার সংখ্যার গ্রাফ খুব ভালোর দিকে এগোচ্ছে। সামনে যদি আরও এক বছরের কথা চিন্তা করেন, সেখানেও কিন্তু আমরা ৬/৭টা টেস্ট খেলবো। এটা ইতিবাচক লক্ষণ আমাদের জন্য।”
ওয়ানডেতে শক্ত অবস্থানে চলে যাওয়া বাংলাদেশ এখনও পায়ের নিচে মাটি খুঁজছে টেস্টে। তামিমের বিশ্বাস, টানা খেলার মধ্যে থাকায় এই সংস্করণে উন্নতির এটাই সেরা সময়।
“এই ফরম্যাটে আমাদের এখনও অনেক উন্নতির বাকি আছে। আমার মনে হয়, আগামী দেড় বছর সঠিক সময়, যেখানে আমরা নিজেদের একটা ভালো টেস্ট দল হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।”