ঢাকায় আসার পর শুক্রবার প্রথমবারের মত শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের মূল মাঠে অনুশীলন করেছে অস্ট্রেলিয়া দল। দুটি উইকেট এদিন খোলা ছিল। অনুশীলনের ড্যারেন লেম্যান, স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, লায়নরা সময় নিয়ে দেখেছেন উইকেট।
তবে উইকেটের মুখ দেখতে পেলেও আদৌ তা কাজে লাগবে কিনা, জানা নেই অস্ট্রেলিয়ানদের। লায়ন বললেন, উইকেট নিয়ে এখনও তারা অন্ধকারে। আগের রাতে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের অনুষ্ঠানে হাথুরুসিহের সঙ্গে কথা বললেও মেলেনি উত্তর।
“আজ উইকেট দেখেছি, তবে ঠিক নিশ্চিত নই কী প্রত্যাশা করা যায়। গত রাতে বাংলাদেশ কোচ চান্দির সঙ্গে কথা বলছিলাম আমি, নিউ সাউথ ওয়েলসে কোচ ছিলেন তিনি। আমাকে তিনি এটা পর্যন্ত জানায়নি যে কোন উইকেট খেলা হবে।”
যে দুটি উইকেট খোলা ছিল, তার একটি ছিল বেশ শুষ্ক। বুটের চিহ্নও ছিল, তার মানে ব্যবহৃত উইকেট। অন্য উইকেট ছিল বেশ ঘাসে ঢাকা।
তবে এই দুটি বা অন্য যে উইকেটেই খেলা হোক, উইকেট নিয়ে যতোই থাকুক রহস্য, নিজেদের করণীয়টা জানেন লায়ন।
“এটুকু অন্তত আমরা জানি যে পেস বান্ধবের চেয়ে উইকেট স্পিন বান্ধব হবে বেশি। যত দ্রুত সম্ভব তাই মানিয়ে নিতে হবে। দেশে আমরা যেরকম উইকেটে খেলি, অবশ্যই তার চেয়ে আলাদা হবে। আমাদের তাই মানিয়ে নিতে হবে এবং খেলতে হবে। ব্যস।”
স্বাগতিক দেশ হিসেবে উইকেট নিয়ে রহস্যটা অনুমিতই। পার্থক্যটা হলো, বাংলাদেশ একসময় রহস্যটা রাখতে পারত না, এখন পারছে!