অস্ট্রেলিয়ার স্পিন আক্রমণে নাথান লায়নের সঙ্গী অ্যাশটন অ্যাগার ও মিচেল সোয়েপসন। সাকিবের মতে, দেশের মাটিতে তাদের চেয়ে বেশি কার্যকর বাংলাদেশের স্পিন ত্রয়ী।
“আমার মনে হয়, আমাদের স্পিন আক্রমণ ওদের চেয়ে ভালো। সব কন্ডিশনে বলবো না, আমাদের দেশে ওদের চেয়ে আমরা ভালো। তাইজুল-মিরাজ অনেক দিন ধরে ভালো বোলিং করছে। এই সিরিজে ওরা দারুণ কিছু করবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।”
আগামী রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ম্যাচের সময় যত এগিয়ে আসছে উইকেট নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তত বাড়ছে। সাকিব অবশ্য উইকেট নিয়ে না ভেবে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করার দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
“উইকেটের উপর তো আমাদের হাত নেই। কিউরেটর হয়তো চেষ্টা করবে। ওটা নিয়ে বেশি চিন্তা করা ঠিক হবে না। যে কোনো উইকেটে ওদের চেয়ে আমাদের ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের উচিত হবে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া।”
“উইকেটে যদি স্পিনারদের জন্য সহায়তা থাকে, তবে আমার জন্য ভালো। যেহেতু আমি একজন স্পিনার। একই সঙ্গে আমাদের পেসারদেরও কিন্তু উইকেট নেয়ার ক্ষমতা আছে, তারা দক্ষ। শুধু স্পিনারদের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না।”
ঢাকায় সব শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেটই নিয়েছিলেন স্পিনাররা। সাকিব মনে করেন, এবার পেসারদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।
“একটা সময়ে দেখা যায়, পেসাররা এসে বড় জুটি ভেঙে দেয়। একজন স্পিনারের চার-পাঁচ উইকেটের চেয়েও এটা বড়। এ ছাড়া টেস্ট জেতার জন্য ব্যাটিংটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
কাঙ্ক্ষিত জয় পেতে বোলিং তো বটেই, ব্যাটিংয়েও বড় অবদান রাখতে হবে আইসিসির টেস্ট অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা সাকিবকে।