কোনো একটি পারফরম্যান্সকে এগিয়ে রাখতে আপত্তি আছে সাকিবের। প্রতিটি রান, প্রতিটি উইকেট তার কাছে সমান মূল্যবান। মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আলাদা করে বললেন কয়েকটি পারফরম্যান্সের কথা।
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত ইনিংসের মালিক সাকিবের এই সংস্করণে আছে পাঁচটি শতক। তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংসগুলো নয় তার কাছে সবচেয়ে এগিয়ে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৯৬। এই ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ।
“এই মুহূর্তে যে ইনিংসটার কথা মাথায় আসছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ৯২ (আসলে ৯৬*)। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এই বছর করা ২১৭, বড় অর্জন ছিলো। বোলিংয়ের দিক থেকে সেরা ছিল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে।”
২০০৮ সালের ওই টেস্টে ৩৬ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। তারপর থেকেই বোলিংয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ক্যারিয়ারে সেটাই ছিল তার প্রথম পাঁচ উইকেট।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট সাকিবের সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচ। ম্যাচে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ১০ রান করার দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৪১ রান। ব্যক্তিগত নয় দলীয় পারফরম্যান্সের জন্যই এই ম্যাচ আজীবন মনে রাখবেন তিনি।
অ্যালান ডেভিডসন, ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের পর চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে একই ম্যাচে শতক ও ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আছে সাকিবের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনা টেস্টের এই পারফরম্যান্সও থাকবে তার সেরার তালিকায়।