প্রশ্ন শুনে মৃদু হাসলেন অ্যাগার। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার নাকি কোনো চাপই অনুভব করছেন না!
গত মার্চে ভারত সফরে পুনে টেস্টে ১২ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ জয় এনে দিয়েছিলেন ও’কিফ। শৃঙ্খলাজনিত কারণে ও’কিফ এখন বিবেচনার বাইরে। অস্ট্রেলিয়া ভরসা করছে অ্যাগারের বাঁহাতি স্পিনে। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে কোচ ড্যারেন লেম্যান বলেছেন, অ্যাগারের কাছেও ও’কিফের মত পারফরম্যান্স আশা করছে দল।
পরদিন সংবাদ সম্মেলনে অ্যাগার বললেন, প্রত্যাশার চাপ-টাপ তিনি মাথাতেই ঢুকতে দিচ্ছেন না।
“চাপ ব্যাপারটি হলো কেউ নিজে কতটা নিচ্ছে। আমার এখন নিজের ওপর চাপ নেওয়া চলবে না। খেলাটা উপভোগ করার চেষ্টা করতে হবে। মাঠে গিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে হবে এবং নিজের ভূমিকা পালন করতে হবে।”
“আমার মনোযোগ নাড়িয়ে দিতে পারে, এমন আলোচনা থেকে দূরে থাকতে হবে। বুফ (লেম্যান) যে কালকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বা এসব বলেছেন, আমি সেটি জানিও না। এভাবেই দেখছি নিজেকে।”
ও’কিফ যে ভারত সফরে সাড়া জাগিয়েছেন, সেই সফরে স্কোয়াডে ছিলেন অ্যাগারও। ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। তবে অনুশীলনে বোলিং করেছেন প্রচুর। নিজেকে তাই বেশ প্রস্তুত ভাবছেন ২৩ বছর বয়সী স্পিনার।
“অনেক অনেক প্রস্তুতি নিয়েছি আমি। ভারত সফরটি ছিল দারুণ প্রস্তুতি। প্রায় এখানকার মত উইকেটে অনেক বোলিং করেছি। তাই বেশ ভালো ধারণা হয়েছে আমার। আমি জানি, সুযোগটা পেলে কিভাবে বোলিং করতে হবে।”
২০১৩ অ্যাশেজে টিনএজ অ্যাগার দুটি টেস্ট খেলে দুই উইকেট নেওয়ার পর জায়গা হারিয়েছিলেন। এরপর আর টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি। চার বছর পর নিজেকে অনেক পরিণত ভাবছেন অ্যাগার।
যে দুটি টেস্ট খেলেছেন, সেটুকুতে নজর কেড়েছিলেন ব্যাটিং দিয়ে। অভিষেক টেস্টে ১১ নম্বরে নেমে খেলেছিরেন ৯৮ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস। এরপর প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটেও ব্যাটিংটা বেশ ভালো করেছেন। ৪৪ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন দুটি ৮টি হাফ সেঞ্চুরি। অ্যাগার জানালেন, সুযোগ পেলে ব্যাট হাতেও রাখতে চান অবদান।
“নিজের খেলার সবদিক নিয়েই কাজ করেছি আমি। এজন্যই খেলাটা উপভোগ করি। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, সবকিছুতেই কিছু না কিছু করতে ভালো লাগে। নিজের ব্যাটিং নিয়ে অনেক গর্ব করি আমি। সুযোগ পেলে চাইব কিছু রান করতে।”
অ্যাগার নামবেন উপভোগের মন্ত্রে। ব্যাটে-বলে অবদান রাখতে। বাংলাদেশ চাইবে তার ফেরাটা বিস্বাদ করে তুলতে!