২০০৬ সালের ৬ অগাস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন সাকিব। ১১ বছর পূর্তির আয়োজন ছিল রোববার একটি রেস্তোরাঁয়। সেখানেই জানালেন ভবিষ্যত ভাবনা।
নিশ্চিত কোনো পরিকল্পনা সাজাননি ৩০ বছর বয়সী সাকিব। এগোতে চান সিরিজ ধরে। তবে মোটামুটি একটি ধারণা দিতে পারলেন।
“খুব বেশি পরিকল্পনা করিনি। বেশি পরিকল্পনা কখনোই করি না। দলের হয়ে পারফর্ম করার চেষ্টা করি। যতদিন পারফর্ম করব, ততদিন খেলব। এছাড়া তেমন কোনো পরিকল্পনা থাকে না আমার।”
“আমি সিরিজ বাই সিরিজ চিন্তা করি। সুনিশ্চিত বলতে পারব না কতদিন খেলতে চাই বা খেলব। আশা থাকবে এখনও ৮-১০ বছর ক্রিকেট খেলার।”
১১ বছরের পথচলায় পেরিয়েছেন অনেক মাইলফলক। হয়েছেন তিন সংস্করণেই বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। গড়েছেন অনেক রেকর্ড, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়।
সামনেই অপেক্ষায় আরেকটি মাইলফলক। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হতে যাচ্ছে তার ৫০তম টেস্ট।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই প্রথম টেস্ট খেলবেন সাকিব। প্রত্যাশার বড় ভার থাকবে তার ওপর। প্রত্যাশা গোটা দলের ওপরই। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই বাড়িয়ে দিয়েছে আশার পরিধি।
সাকিব অবশ্য শোনালেন সতর্কবার্তা। আশার কথাও শোনালেন, তবে বললেন সিরিজটি হবে কঠিন।
“আমরা যখনই খেলি, সম্ভাবনা সবসময়ই থাকে। এবারও আছে। ওরা ভালো দল। অস্ট্রেলিয়ার মত দল সবসময়ই বিপজ্জনক। আমাদের জন্য কঠিন একটি সিরিজ অপেক্ষা করছে।”
“এটাও বলব, আমরাও প্রস্তত। যেহেতু আমাদের গত কিছুদিনের পারফরম্যান্স ভালো, সেদিক থেকে আমরা দারুণ আত্মবিশ্বাসী। আশা করি, খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি সিরিজ হবে।”