উপমহাদেশে গত ১০ বছরে মোটে দুটি টেস্ট জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এই সময়ে সিরিজ জিতেছে কেবল একটি। স্মিথের বিশ্বাস, বাংলাদেশ সফর শেষে উপমহাদেশে একটু উজ্জ্বল হবে তাদের রেকর্ড।
“আমাদের সামনে বাজে রেকর্ডে পরিবর্তন আনার সুযোগ। আমি মনে করি, ভারতে আমরা ভালো করেছি। এখানে আমাদের সেই কাজটা আরেকটু ধারাবাহিকভাবে এবং লম্বা সময় ধরে করতে হবে। সেখানে যা শিখেছি সেই দক্ষতা দেখানোর আরেকটি সুযোগ।”
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খেলতে শুক্রবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া দল। শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে সিরিজে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে বলেন স্মিথ।
“এখানে এসে ভালো লাগছে। আমরা এই সফর নিয়ে রোমাঞ্চিত। এটা আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং সফর হবে। গত এক বছর ধরে ওরা দেশের মাটিতে ভালো ক্রিকেট খেলছে। আশা করি, আবহাওয়া ভালো থাকবে, আমরা সিরিজে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো।”
চ্যালেঞ্জিং সিরিজ, ভারত সফর থেকে নেওয়া শিক্ষা কাজে লাগানোর কথা অনেকবার শোনা গেছে অধিনায়কের কণ্ঠে।
“এটা চ্যালেঞ্জিং সিরিজ হবে।… খুব বেশি দিন হয়নি এখানে ওরা ইংল্যান্ডকে একটি টেস্টে হারিয়েছে। আমরা এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি।”
দুই দল সবশেষ টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল ২০০৬ সালে। সেই সময়ে কোথায় ছিলেন স্মিথ?
“দশ বছর আগের কথা। আমার বয়স তখন ১৮। সম্ভবত তখন আমি নিজের পথ খুঁজছিলাম। আমার মনে হয় না, আমি নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে তখনও খেলেছি। এটা অনেক আগের কথা। তারপর থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।”
অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বর্তমান দলের কারোরই একে অন্যের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা নেই।
“আমি মনে করি, এটা রোমাঞ্চকর একটি ব্যাপার। ….গত ১৭ বছরে দুই দল মাত্র চারটি টেস্ট খেলেছে জেনে আমি খানিকটা বিস্মিত হয়েছি।”
র্যাঙ্কিংয়ের হিসেবে ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া। ইতিহাসও তাদের পক্ষে। দুই দলের মধ্যে খেলা চার টেস্টেই জিতেছে তারা। তবে এবারের সিরিজে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন না স্মিথ।
“আমি মনে করি, দারুণ একটি সিরিজ হতে যাচ্ছে। এখানে বাংলাদেশ খুব ভালো খেলে। আমি ফেভারিট বেছে নেব না। আমাদের নিজেদের স্কিলের ওপর আস্থা রাখতে হবে।”