অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের বাংলাদেশ দলে রাখা হয়নি মুমিনুলকে। সাম্প্রতিক ফর্ম শুরুর মত দুর্দান্ত না হলেও তার ব্যাটিং গড় এখনও দলের সেরা। সবশেষ দুই টেস্টে ভালো করতে পারেননি বটে। তবে তার আগের টেস্টেই ওয়েলিংটনের কঠিন কন্ডিশনে খেলেছেন ৬৪ রানের ইনিংস। দেশের মাটিতে সবশেষ টেস্টেও করেছিলেন ৬৬। তামিম ইকবালের সঙ্গে তার জুটি বড় ভুমিকা রেখেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের দারুণ জয়ে।
মুমিনুলের বাদ পড়া তাই জন্ম দিল অনেক প্রশ্নের। গুঞ্জন আছে, কোচের চাওয়ার কারণেই দলে নেই মুমিনুল। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন সরাসরি না বললেও “দল নির্বাচনে কোচও ছিলেন” বলে মুমিনুলের বাদ পড়ার প্রশ্নে ইঙ্গিত দিয়েছেন বারবার। প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত হাথুরুসিংহে এক পর্যায়ে বিরক্ত কণ্ঠে দিলেন জবাব।
“এসব প্রশ্ন তুলে আপনারা ক্রিকেটারদের কাজটাই কঠিন করে তুলছেন। কোনো ক্রিকেটারের প্রতি আমাদের কোনো অনুরাগ নেই। আমরা সেরা ক্রিকেটারদেরই নেওয়ার চেষ্টা করি এবং তাদের সেরাটা বের করে আনার চেষ্টা করি।”
২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আচমকাই কোচ বলেছিলেন, শর্ট বলে দুর্বলতা আছে মুমিনুলের। গত শ্রীলঙ্কা সফরে গল টেস্টে দুই ইনিংসে দিলরুয়ান পেরেরার বলে আউট হওয়ার পর প্রশ্ন তোলেন অফ স্পিনে মুমিনুলের সক্ষমতা নিয়েও। প্রথম ৭ টেস্টে যার ছিল তিনটি সেঞ্চুরি, হাথুরুসিংহে কোচ হয়ে আসার পর তার ১৫ টেস্টে সেঞ্চুরি একটি।
মুমিনুলের সমস্যা কাটাতে কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহে কতটা কাজ করেছেন, সেই প্রশ্নও উঠল। মুমিনুল যেহেতু আগে পারফর্ম করেছেন, এখনকার ভুলগুলো শুধরে দেওয়ায় কোচের ব্যর্থতা কতটুকু? কিছুটা নিজে নিলেও দায় বেশিরভাগটা মুমিনুলকেই দিলেন কোচ।
মুমিনুলের সমস্যাটি কোথায়, এই প্রশ্নে কোচের উত্তর “সমস্যা হলো সে রান করছে না। সব ক্রিকেটারের এই সময় আসে।”
পাল্টা যখন মনে করিয়ে দেওয়া হলো, দুই টেস্ট আগেই ওয়েলিংটনে ৬৪, কদিন আগে চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচে ৭৩ রান, কোচের সুর আবার তখন গেল পাল্টে।
“সে সম্ভব সব কিছুই করছে। সে রান করেছে, দারুণ ব্যাট করেছে প্রস্তুতি ম্যাচে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দলে যারা আছে, তারা্ও রান করছে।”
একজন ক্রিকেটারকে নিয়ে বারবার প্রশ্নেও বেশ বিরক্ত কণ্ঠে কোচ বললেন, সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
“বাংলাদেশ মানেই কেবল মুমিনুল নয়। এটা ১১ জন ক্রিকেটারের দল, যারা ম্যাচ জয়ে চেষ্টা করছে। আপনারা একজন-দুজনকে নিয়ে বেশি চিন্তিত। আমরা কোনো ক্রিকেটারকে আলাদা করছি না। সবাইকে সমানভাবে বিবেচনা করি। সবাইকে সমান সুযোগ দিচ্ছি।”