৭৩ বলে ১৬১!

একসময় তার টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য নিয়ে ছিল প্রশ্ন। তার নিজেরও তখন ইংল্যান্ডের টেস্ট ওপেনার হওয়ার দিকেই ছিল সব মনোযোগ। সেসব দিন এখন অতীত। টি-টোয়েন্টিতেও নিয়মিত জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। সেই অ্যাডাম লাইথ টি-টোয়েন্টিতেই নিজেকে তুলে নিলেন নতুন উচ্চতায়।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2017, 06:58 AM
Updated : 18 August 2017, 10:06 AM

ইংল্যান্ডের ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে বৃহস্পতিবার ৭৩ বলে ১৬১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন লাইথ। ইংল্যান্ডে এটি টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান।

লাইথের রেকর্ড গড়া ইনিংসে রেকর্ড গড়া স্কোর পায় তার দল। হেডিংলিতে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ইয়র্কশায়ার ২০ ওভারে তোলে ৪ উইকেটে ২৬০ রান। ইংল্যান্ডে এটি সবচেয়ে বড় দলীয় ইনিংস।

বেন স্যান্ডারসনকে প্রথম ওভারেই ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন লাইথ। ররি ক্লেইনভেল্ডকে টানা দুই চলে চার ও ছক্কায় পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ২১ বলে।

পরের পঞ্চাশে সময় লেগেছে একটু বেশি ২৮ বল। রিচার্ড গ্লিসনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৪৯ বলে ছুঁয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি।

একসময় ছুটছিলেন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের পথে। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারের চতুর্থ বলে সীমানায় ধরা পড়েন ১৬১ রানে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লাইথের চেয়ে বড় ইনিংস আছে কেবল আর দু জনের। আইপিএলে ক্রিস গেইলের ৬৬ বলে অপরাজিত ১৭৫ আর জিম্বাবুয়ের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ৭১ বলে অপরাজিত ১৬২।

ইংল্যান্ডে আগের রেকর্ড ছিল ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অপরাজিত ১৫৮।

ইয়র্কশায়ারের ২৬০ রানের চেয়ে বড় দলীয় ইনিংসও সব মিলিয়ে আছে দুটি। ২৬৩ রানের বিশ্বরেকর্ড যৌথভাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও অস্ট্রেলিয়ার।

৪ ওভারে ৭৭ রান গুণেছেন নর্দাম্পটনশায়ারের স্যান্ডারসন। টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে বেশি রান গুণেছেন কেবল একজন। ২০১১ সালে পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারে ৮১ রান দিয়েছিলেন সারমাদ আনোয়ার।

লাইথের ইনিংসে ৭টি ছক্কার পাশাপাশি ছিল ২০টি চার। স্পর্শ করেছেন তিনি আহমেদ শেহজাদের বিশ্বরেকর্ড। ২০১২ সালে পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ৫৭ বলে ১০৭ রানের ইনিংসের পথে শেহজাদ মেরেছিলেন ২০টি চার।

২৯ বছর বয়সী লাইথ ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ৭টি টেস্ট। অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের অবসরের পর অ্যালেস্টার কুকের ১২ জন ওপেনিং সঙ্গীর একজন ছিলেন তিনি। সাতটি টেস্ট খেলে একটি সেঞ্চুরি করলেও ছিল না আর কেনো অর্ধশতকও। ২০১৫ সালে শুরু হয়ে ওই বছরেই থমকে গেছে বাঁহাতি ওপেনারের টেস্ট ক্যারিয়ার।

লাইথের রেকর্ড গড়া ইনিংসে ইয়র্কশায়ার জিতেছে ১২৪ রানে। ওপেনার রিচার্ড লেভি ৩২ বলে ৬৫ করলেও নর্দাম্পনশায়ার তুলতে পারে ১৩৬ রান। ইয়র্কশায়ারের আজিম রফিক নিয়েছেন ১৯ রানে ৫ উইকেট।