রিভার্স সুইংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপাতে চান শফিউল

প্রথম বল থেকে ঘুরবে এমন উইকেটে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে সব দায়িত্ব স্পিনারদের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন না শফিউল ইসলাম। বিশ্বাস করেন, পেসারদেরও ভূমিকা রাখার যথেষ্ট সুযোগ থাকে এই উইকেটে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2017, 01:52 PM
Updated : 13 August 2017, 01:52 PM

উদাহরণ খুঁজতে বেশি দূর যেতে হয়নি শফিউলকে। বাংলাদেশের মাটিতে সর্বশেষ সিরিজেই দেখা গেছে তেমন চিত্র। পুরানো বলে রিভার্স সুইংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছেন বেন স্টোকস। চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যবধান গড়ে দিয়েছিলেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডারই। শফিউল মনে করেন, অতিথি পেসাররা স্পিনিং উইেকেটে সাফল্য পেলে তাদেরও পাওয়া উচিত। 

টেস্টে নিজেদের আরও শাণিত করতে কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে নিবিড় কাজ করে চলেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। স্টিভেন স্মিথদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে মিলতে পারে তার ফল। তার জন্য বল বানানোকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন শফিউল।   

রিভার্স সুইংয়ের জন্য বল বানানো একটি শিল্প। শফিউল জানান, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও ক্রমশ পাকা শিল্পী হয়ে উঠছেন। চেষ্টা থাকলে এসজি বল রিভার্স সুইংয়ের জন্য প্রস্তুত করা খুব কঠিন হবে না।

“ইংল্যান্ড সিরিজে আমরা দেখেছি বেন স্টোকস কিভাবে রিভার্স সুইংয়ে সাফল্য পেয়েছে। আমরা যদি তেমনভাবে বল বানাতে পারি তাহলে অবশ্যই রিভার্স সুইং করাতে পারবো। পেসাররা যদি এটা করতে পারে তাহলে স্পিনারদের জন্য কাজটা আরও সহজ হয়ে যাবে।” 

কাগজে-কলমে অনুশীলন ছিল দুপুর দুইটা থেকে। তবে সকাল থেকেই পেস বোলিং কোচ ওয়ালশের সঙ্গে কাজ শুরু করেন পেসাররা। অনুশীলন শেষে বিকালে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন শফিউল। সেখানেই বলছিলেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পেসারদের ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা নিয়ে।

“আমাদের দেশে টেস্টে স্পিনাররাই বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সেই তুলনায় আমরা পেসাররা সেভাবে ‘ব্রেক থ্রু’ দিতে পারি না। আমাদের পেসারদের অবশ্যই ওই জায়গায় উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে।”

“শুরু থেকেই পেসারদের আক্রমণাত্মক হতে হবে। আমাদের জোরে বল করার মতো পেসার আছে। আমাদের পেসারদের মধ্যে বৈচিত্র্য রয়েছে। আমরা যদি জায়গা মতো বোলিং করতে পারি তাহলে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারব।”

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পুরোপুরি স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলেছিল বাংলাদেশ। স্মিথদের বিপক্ষেও একই ধরনের উইকেটে খেলা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শফিউল জানান, সব দিক মাথায় রেখেই কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন পেসাররা।

“উইকেট যেমনই হোক পেসারদের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। নতুন বলে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দিতে পারলে স্পিনারদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যাবে। যেমন উইকেটই হোক পেসারদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।”

আগের চেয়ে পেস বোলিং ইউনিট এখন অনেক শক্তিশালী। শফিউলের বিশ্বাস, যে কোনো ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে লড়াই করার সামর্থ্য তাদের আছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন তারা।