চট্টগ্রামে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের আগে নিবিড় অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। তিন দিন ধরে দীর্ঘ সময় নিয়ে ব্যাটিং-অনুশীলন করেছেন দলের সবাই।
শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাব্বির জানালেন, ক্যাম্পে কাজ করছেন টেকনিক আরও শাণিত করতে।
“টেকনিক নিয়ে একটু কাজ করছি। টেকনিক বলতে…ব্যাক লিফট নিয়ে কাজ করছি। সামনে-পেছনে থ্রো ডাউন নিয়ে কাজ করছি। থ্রো ডাউনটা ব্যাটিংয়ের খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সামনের বল বা পেছনের বলে কিভাবে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া যায়, কিভাবে ছাড়তে হয়, এসব আর কী।”
নতুন কিছুর চেষ্টায় তাকে সাহায্য করছেন নতুন ব্যাটিং পরামর্শক।
“ব্যাক লিফটের সমস্যাটা নিয়ে কাজ করছি উনার সঙ্গে। গ্রিপটা নিয়েও কাজ করছি। নতুন বলটা মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে কি করা উচিত, কিভাবে ধৈর্য বাড়তে পারে, এসব নিয়ে কাজ করছি।”
চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১০ রানে আউট হয়েছেন সাব্বির। বৃষ্টিতে শেষ দিন খেলা না হওয়ায় ব্যাট করতে পারেননি দ্বিতীয় ইনিংসে। তবে নতুন ব্যাক লিফট এই ম্যাচ থেকে শুরু করেননি সাব্বির। করতে চান দ্রুতই।
“এখনও শুরু করিনি করা, তবে যত তাড়াতাড়ি আয়ত্তে নিতে পারব, তত ভালো আমার জন্য। টেস্ট ম্যাচের জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার, আমি করছি। কিভাবে বড় রান করা যায়, ধৈর্য কিভাবে রাখা যায়, সেসব নিয়েও কাজ করছি।”
নতুন বল খেলা নিয়ে কাজ করার ব্যাপারটি বোধগম্যই। ওয়ানডেতে এখন তিনে ব্যাট করছেন সাব্বির। সবশেষ টেস্টে ব্যাট করেছেন চারে। প্রস্তুতি ম্যাচেও খেলেছেন চারে। তবে তার কথায় ইঙ্গিত মিলল, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেন একটু নিচেও।
“পজিশন নিয়ে চিন্তা কিছু করি না। দল যেখানে খেলায়, সেখানেই খেলব। কোচ এখনও কিছু বলেননি। হয়ত ছয় বা পাঁচেও খেলতে পারি।”
পজিশন বদলে যাক বা না-ই যাক, সাব্বির বদল আনতে চান মানসিকতায়। বললেন, সহজাত ব্যাটিং ধরে রেখেই আরেকটু পরিণত ব্যাটিং করতে চান।
“সবসময় তো আক্রমণ করা যাবে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী শট খেলতে হবে। গিয়েই প্রথম বলে আক্রমণাত্মক হলে তো চলবে না। বুঝতে হবে উইকেট কেমন, ওদের বোলার, ওদের পরিকল্পনা কেমন, সবকিছু ভেবেই খেলতে হবে। যেহেতু আমি আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান, সেভাবে খেলব যেভাবে খেলে আসছি। তবে চেষ্টা করব পরিস্থিতি বুঝে খেলার।”
সাব্বিরের সহজাত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে যদি যোগ হয় বিবেচনাবোধ, আগ্রাসন যদি হয় নিয়ন্ত্রিত, নিজেকে তাহলে নিতে পারেন তিনি নতুন উচ্চতায়।