এ বছর এখন পর্যন্ত ৫ টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সাকিব, ১৬টি মিরাজ। পেসার খেলেছেন ৫ জন। কেউ খেলতে পারেননি ৫ টেস্টের সবকটি। ১০ উইকেটও নেই কারও।
বোলিংয়ে ঘাটতিটা অস্বীকার করছেন না মুশফিক। তবে যৌক্তিক কারণও শোনালেন। সঙ্গে দেখালেন আশার ছবি।
“আমরা এত বেশি ব্যবধানে টেস্ট খেলি যে প্রতি সিরিজেই দেখা যায় নতুন বোলিং কম্বিনেশন। তো নতুনদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন। এসেই কেউ ভালো করবে, এই আশাটা অনেক বেশি হয়ে যায়।”
“এই বোলিং ইউনিট নিয়ে যদি আমরা এক-দুই বছর খেলতে পারি, তাহলে ভালো হবে। ব্যাটিংয়ে আমরা অনেক থিতু। বোলিং ইউনিট দাঁড়াতে একটু সময় লাগবে। তবে বৈচিত্র আমাদের আছে। মুস্তাফিজ আছে, তাসকিন আছে, তাইজুল-মিরাজ আছে, সাকিব, রুবেল-শফিউলরা আছে, শুভাশিস… আমি মনে করি যে কোনো দলের বিপক্ষে এখন ২০ উইকেট নিতে পারি আমরা।”
বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের তত্ত্বাবধানে কাজ করে চলেছে বোলিং ইউনিট। কোচিং স্টাফে শিগগিরই যোগ হতে পারেন চম্পকা রামানায়েকে ও স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল। থিতু ব্যাটিংটা আরও ঝালাইয়ের কাজ চলছে মার্ক ও’নিলের কোচিংয়ে।
ব্যাটিং কোচের সঙ্গ ভালোই লাগছে মুশফিকের। নতুন জনের কাছ থেকে আশা করছেন নতুন কিছু পাওয়ার।
“প্রধান কোচ যেটা বলেছেন, নতুন কারও চোখে নতুন কিছু ধরা পড়তে পারে। আমাদের কোচ অনেক দিন ধরে দেখছেন, হয়ত কিছু এড়িয়ে যেতে পারে। নতুন কারও চোখে ভিন্ন কিছু ধরা পড়তে পারে। আমার ওর সঙ্গে কথা বলে বেশ ভালো লেগেছে। মৌলিক ব্যাপারগুলো বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন।”
মার্ক ও’নিলের বড় দায়িত্ব লোয়ার অর্ডারদের ব্যটিংয়ে উন্নতি করানো। লোয়ার অর্ডারদের ব্যর্থতায় নানা সময়ে দলের ভোগান্তি ভালোই জানেন অধিনায়ক। এখনই না হলেও ভবিষ্যতে লেজের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে দারুণ কিছুর আশা করছেন মুশফিক।
“তিনি লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে অনেক কাজ করছেন। টেস্টে লোয়ার অর্ডারদের অনেক বড় ভূমিকা থাকে। বড় দলগুলির দেখবেন শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরাও ২০ গড়ে রান করে। যেটা দলকে অনেক সাহায্য করে। তাৎক্ষনিক ফল না পেলেও ভবিষ্যতে হয়ত কাজে দেবে। অনেক টেস্ট ম্যাচ হয়ত জেতাবে বা বাঁচিয়ে দেবে।”