উপভোগের কারণ, কাজটা তিনি উপভোগ করছেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম পর্বের অনুশীলনের দ্বিতীয় দিন রোববার ক্যাম্পের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ে খুবই খুশি ব্যাটিং কোচ।
“আমি খুব, খুবই ইমপ্রেসড। ছেলেরা ব্যাট হাতে ভালো করছে, বিশেষ করে আজকে। টেস্ট ম্যাচে কাজে লাগতে পারে, এরকম বেশ কিছু কৌশল নিয়ে ছেলেরা কাজ করছে। যেভাবে সবকিছু এগোচ্ছে, এখনও পর্যন্ত আমি দারুণ খুশি।”
যদিও সময়টা তার হাতে খুবই কম। প্রাথমিকভাবে তার সঙ্গে চুক্তি ১ মাসের। কাজ ভালো হলে বাড়তে পারে মেয়াদ। তিনি নিজেও বলছেন, এক মাসে ছাপ রাখা কঠিন। উত্তরটা দিলেন মজা করে।
সামনে যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, মার্ক ও’নিল আপাতত কাজ করছে টেস্টের ব্যাটিং নিয়েই। জোর দিচ্ছেন মানসিকতায়।
“চেষ্টা করছি ওদের টেস্ট ম্যাচের উপযোগী করে তৈরি করতে। এটা নিশ্চিত করা যেন ছেলেরা উইকেটের মূল্য বুঝতে পারে। নেটেও যেন বাজে শট না খেলে। নেটেও সোজা ব্যাটে খেলা, জোর করে শট খেলার বদলে টাইমিং ও ওয়েট ট্রান্সফারে জোর দেওয়া।”
“টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের মৌলিক ব্যাপারটিই হলো ধৈর্য। নিজের শক্তির জায়গাটাতে অটল থাকা, অন্যের শক্তির জায়গায় পা না দেওয়া। নিজের ওপর বিশ্বাসটা গুরুত্বপূর্ণ।”
ও’নিলের দায়িত্বের একটা বড় অংশ লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কাজ করা। তার মতে, লোয়ার অর্ডাররাও ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারেন ম্যাচ জয়ে। চেষ্টা করছেন, ব্যাটিংয়েও তাদের পর্যাপ্ত সময়টা দেওয়া নিশ্চিত করতে।
“ওদের কাছ থেকে কিছু পেতে হলে ওদের দিকে কিছুটা মনোযোগ দিতে হবে, অনুশীলনে ব্যাটিংয়ে সময় ও সুযোগ দিতে হবে। ওদেরকে উৎসাহ দিতে হবে যেন নিজেদের শক্তির জায়গা অনুযায়ী খেলে, যেন ভূমিকা রাখতে পারে এবং অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানকে স্ট্রাইক দিতে পারে।”
বাংলাদেশ দলের তো বটেই, আসছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ মার্ক ও’নিলের জন্যও একটা পরীক্ষা। চাকরি শুরু করেছেন বটে, তবে পাকা হবে কেবল ওই পরীক্ষায় উতরে গেলে।