ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক মুখপাত্র জানান, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দল থেকে প্যাটিনসনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে যাতে তিনি আগামী অ্যাশেজের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে পারেন।
প্যাটিনসন এখন হালকা অনুশীলন করে যাবেন। পুরোদমে অনুশীলনে ফিরবেন চার সপ্তাহের মধ্যে।
প্যাটিনসনের সরে যাওয়াটা অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য আরেকটা ধাক্কা হয়ে এল। পায়ের চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে না পারায় দলে ছিলেন না মিচেল স্টার্কও। তার জায়গায় দলে এসেছিলেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসন।
পেস আক্রমণে বার্ডের সঙ্গে আছেন কেবল জশ হেইজেলউড, প্যাট কামিন্স।
২০১২ সালে টেস্ট অভিষেকের পর আটটি ম্যাচ খেলেছেন বার্ড, যার শেষটি গত ডিসেম্বরে। গতি ঝড় হয়তো তুলতে পারেন না এই পেসার তবে সুইং আর সিম মুভমেন্ট তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে বিপজ্জনক বোলারে পরিণত করেছে।
দুই মাস আগেই ১৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পারফরম্যান্স দেখে আরেক জন পেসার নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েনে ওই সফর থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা।
নয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংকটের অবসান হয়েছে। ২০০৬ সালের পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলতে ১৮ অগাস্ট ঢাকায় আসবে স্টিভেন স্মিথের দল।
অ্যাশটন অ্যাগার ও নাথান লায়নের পর তৃতীয় স্পিনার হিসেবে দলে আসেন সোয়েপসন। বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ সিরিজে ভারতের বিপক্ষেও স্কোয়াডে ছিলেন ২৩ বছর বয়সী লেগ স্পিনার। অবশ্য কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তার।
স্পিন আক্রমণের ধার বাড়াতে সোয়েপসনকে নেওয়া হয় বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক ট্রেভর হনস।
সোয়েপসন তার ১৪ প্রথম শ্রেণির ম্যাচের শেষটি খেলেছেন গত বছরের ডিসেম্বরে। এই সংস্করণে ৩২.৮২ গড়ে নিয়েছেন ৪১ উইকেট। পাঁচ উইকেট নেই একবারও। সেরা ৪/৩৩।
বাংলাদেশ সফরের আগে ডারউইনে একটি ক্যাম্প করবে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে একটি তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। ঢাকায় এসে ২২-২৩ অগাস্ট ফতুল্লায় একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন স্মিথরা।
প্রথম টেস্ট শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ২৭ অগাস্ট। আর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৪ সেপ্টেম্বর।
২০১৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল স্টিভেন স্মিথের দলের। নিরাপত্তা শঙ্কায় শেষ মুহূর্তে সফর স্থগিত করে দেশটি। বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আসেনি তারা।
একই ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে গত বছরের শুরুতে বাংলাদেশে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি অস্ট্রেলিয়া। সফলভাবেই শেষ হয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ।
২০০৬ সালের পর কোনো টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করেনি অস্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ ২০১১ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিল তারা।
টেস্টের অস্ট্রেলিয়া দল: স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার, হিল্টন কার্টরাইট, প্যাট কামিন্স, পিটার হ্যান্ডসকম, জশ হেইজেলউড, উসমান খাওয়াজা, নাথান লায়ন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জ্যাকসন বার্ড, ম্যাথিউ রেনশ, মিচেল সোয়েপসন, ম্যাথু ওয়েড।