কোচের দৃষ্টি ২০১৯ বিশ্বকাপে

প্রাথমিক দলে প্রাথমিকভাবে ছিলেন ২৯ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন হাইপারফরম্যান্স দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর করে ফিরে আবার যোগ দিয়েছেন। স্কিল ট্রেনিংয়ের জন্য ফরমায়েশ দিয়ে আনা হচ্ছে আরও দু-একজন। এত ক্রিকেটারের ভিড়ে নিবিড় অনুশীলনের সুযোগ কোথায়?

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2017, 12:28 PM
Updated : 2 August 2017, 03:20 PM

ফিটনেস ট্রেনিংয়ে জিমভর্তি ক্রিকেটার। নেটেও গাদা গাদা। সূচি করা হয়েছে নিবিড় অনুশীলনকে মাথায় রেখেই। এতসব ক্রিকেটারকে একসঙ্গে ক্যাম্পে রাখা হচ্ছে একটি বিশেষ কারণে। ২০১৯ বিশ্বকাপ!

প্রাথমিক দলটি আসছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য। তবে চন্দিকা হাথুরুসিংহে দেখছেন আরও বড় ছবি। বুধবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়েই খুঁজছেন ভবিষ্যতের সেনানী।

“আমরা বৃহত্তর ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছি বলেই ২০ জনের বেশি ক্রিকেটারকে রেখেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য ২০১৯ বিশ্বকাপ, অন্তত আমার কাছে।”

“এই ক্রিকেটারদের সবাইকেই প্রচণ্ড চাপ ও তীব্রতায় ট্রেনিংয়ে অভ্যস্ত হতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওরা যখন ট্রেনিং করে, তীব্রটা অতটা থকে না। ট্রেনিংয়ের মানও তেমন নয়। জাতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে ট্রেনিং করলে ওরা বুঝতে পারবে এই পর্যায়ে আসতে সামনে কতটা চ্যালেঞ্জ অপেক্ষায়।”

কোচের চাওয়া, জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারের সংখ্যা যতটা সম্ভব বাড়ানো। যেন প্রয়োজনে কারও বিকল্প খুঁজতে গেলে হাপিত্যেশ করতে না হয়।

“ব্যাপারটি হলো, আমাদের ক্রিকেটার পুল বাড়ানো, যদি প্রয়োজন হয়। এমনও হতে পারে, কেউ একজন নিজেকে প্রমাণ করল যে, ‘আমাকে নাও, আমি যথেষ্ট ভালো।’ আমরা চাই না দলে কেউই নিজের জায়গা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে থাকুক।”

ফিটনেস ট্রেনিং শেষে ঢাকায় স্কিল ট্রেনিংয়ের পর্ব আপাতত শেষ। বৃহস্পতিবার ছুটি, শুক্রবার দল যাবে চট্টগ্রামে। সেখানে সপ্তাহখানেকের ট্রেনিংয়ে থাকবে প্রস্তুতি ম্যাচও। ঢাকায় ফিরে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সরাসরি প্রস্তুতি।