রাজশাহীতে ফিরলেন মুশফিক

মাঝের তিন আসর সিলেট আর বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলা মুশফিকুর রহিম ফিরেছেন রাজশাহীতে। বিপিএলের পঞ্চম আসরে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক খেলবেন রাজশাহী কিংসের হয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2017, 03:56 PM
Updated : 1 August 2017, 03:56 PM

গতবার ফাইনালে খেলা দলটি স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ধরে রেখেছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক, অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও পেস অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজাকে।

প্রথম আসরে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে খেলেছিলেন মুশফিক। পরের আসর খেলেন সিলেট রয়্যালসের হয়ে। তৃতীয় আসরে ছিলেন সিলেটের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট সুপারস্টার্স দলে। বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গতবার খেলেন বরিশাল বুলসের হয়ে।   

ঘরের ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি রাজশাহী। যদিও এই আইকন খেলোয়াড়কে আনতে হারাতে হয়েছে ঘরের আরেক ছেলে সাব্বির রহমানকে। মুশফিকও খুশি নিজের ঘরে ফিরে।

“আমি খুবই গর্বিত ও সম্মানিত বোধ করছি যে, স্থানীয় দলে খেলতে পারব। পাশাপাশি অনেক বড় দায়িত্বও; চেষ্টা করব, আমাকে যে জন্য নেওয়া হয়েছে, তার যথার্থটা প্রমাণ করার।”

গত আসরের ফাইনালে ঢাকা ডায়নাইমাইটসের কাছে হেরেছিল রাজশাহী। এবার তাদের লক্ষ্য শিরোপা। মুশফিক মনে করেন, দল হিসেবে সবাই জ্বলে উঠলে লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব হবে না। 

“অধিনায়ক অথবা খেলোয়াড় যাই বলেন, আপনাকে পারফর্ম করতে হবে। আমি বার বার বলছি যে, কেউ একা ম্যাচ জেতাতে পারে না। যদি সবার সহায়তা পাওয়া না যায় তাহলে কাজটা কঠিন হয়ে যায়।”

দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে বিপিএলের সঙ্গে একই সময়ে। সেই টুর্নামেন্টের জন্য এবার বিপিএলে নাও খেলতে পারেন ড্যারেন স্যামি। তবে রাজশাহী এখনও আশাবাদী পাওয়া যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে।

ইংলিশ অলরাউন্ডার সামিত প্যাটেলের সঙ্গে রাজশাহী ধরে রেখেছে নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনকে। দলের শক্তি বাড়াতে এবার আনা হয়েছে ইংলিশ ব্যাটসম্যান লুক রাইট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্স ও জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান ম্যালকম ওয়ালারকে।   

মুশফিক জানান, টুর্নামেন্টে নিজেদের মেলে ধরতে এগিয়ে আসতে হবে দেশি-বিদেশি সব ক্রিকেটারকে। এবারের আসরে পাঁচ বিদেশি ক্রিকেটার খেলাতে পারবে দলগুলো। মুশফিকের বিশ্বাস উঁচু মানের বিদেশি ক্রিকেটার এলে এতে লাভবানই হবেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা।

“যেকোনো সিদ্ধান্তের একটি ভালো দিক, একটি খারাপ দিক আছে। পাঁচ জন বিদেশি প্লেয়ার কোনো দলে থাকলে স্থানীয় ক্রিকেটারের জায়গা একটি কমে যাবে।… তাই এখন কঠিন প্রতিযোগিতা হবে।”

“আমার মনে হয়, বিপিএলে অনেক উঁচু মানের খেলোয়াড়রা আসে। তাদের সঙ্গে খেললে ও ড্রেসিংরুম শেয়ার করলে অনেক উন্নতি হয়। যা আমরা প্রথম আসরে দেখেছি। সেবার আমরা পাঁচ জন বিদেশি নিয়ে খেলেছিলাম,” যোগ করেন মুশফিক।

বিপিএলে ব্যাটসম্যান হিসেবে সফল তিনি। কিন্তু দলীয় প্রাপ্তির খাতাটা এখনও শূন্য। দলকে ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেননি একবারও। অপ্রাপ্তি ঘুচাতে এবারের আসরের দিকেই তাকিয়ে মুশফিক।