টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম স্পেলেই রোল্যান্ড-জোন্স নিলেন ৪ উইকেট। সঙ্গে জেমস অ্যান্ডারসনও যোগ দিয়ে উড়িয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার টপ ও মিডল অর্ডার। শেষের দিকের প্রতিরোধে যা একটু রক্ষে।
ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৮ উইকেটে ১২৬। বেন স্টোকসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড তুলেছে ৩৫৩।
প্রথম ওভারে একটুর জন্য উইকেট পাননি রোল্যান্ড-জোন্স। দ্বিতীয় ওভারেই সেই আফসোস উধাও। ডিন এলগারকে ফিরিয়ে প্রথম টেস্ট উইকেট। পরের ওভারে হাইনো কুন। পরের ওভারে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বিদায় হাশিম আমলা। লেংথ থেকে অতিরিক্ত লাফিয়ে সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বল ছোবল দিল আমলার গ্লাভসে। প্রথম ওভারে ৫ রান দেওয়া পেসার পরের ৩ ওভারে নিলেন ৩ রানে ৩ উইকেট!
শেষ নয় ওখানেই। ওই স্পেলে ফেরালেন বিপজ্জনক কুইন্টন ডি কককে। অ্যান্ডারসন আক্রমণে ফিরে হানলেন জোড়া আঘাত। আর স্টোকসের তো উইকেট নেওয়ার প্রবণতা বরাবরই। সব মিলিয়ে ৬১ রানেই নেই দক্ষিণ আফ্রিকার ৭ উইকেট!
এরপর কাগিসো রাবাদাকে নিয়ে টেম্বা বাভুমার মান রক্ষার লড়াই। অষ্টম উইকেটে দুজনের ৫৩ রানের জুটিতে একশ ছাড়াতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিকে এই জুটি ভাঙেন স্টুয়ার্ট ব্রড।
এক বোলার কম নিয়েও প্রোটিয়া বোলিং আক্রমণ খারাপ করেনি। স্টোকসের অসাধারণ সেঞ্চুরিতেই কেবল সাড়ে তিনশ রান পেরোয় ইংল্যান্ড।
তখনও অবশ্য রানটাকে খুব বড় মনে হয়নি। কে জানত, ব্যাটিংয়ে কী দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৫৩
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৪৩ ওভারে ১২৬/৮ (এলগার ৮, কুন ১৫, আমলা ৬, ডি কক ১৫, দু প্লেসি ১, বাভুমা ৩৪*, মরিস ২, মহারাজ ৫, রাবাদা ৩০, মর্কেল ২*; অ্যান্ডারসন ২/১৬, ব্রড ১/২৮, রোল্যান্ড-জোন্স ৪/৩৯, স্টোকস ১/২৬, রুট ০/৫, মইন ০/৮)।