পরের বলে আরেকটি ছক্কায় স্টোকস যেন উদযাপন করলেন মাইলফলক। আউট হয়ে গেছেন অবশ্য খানিক পরই। সঙ্গে দলের ইনিংসেরও সমাপ্তি। তবে ততক্ষণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ড অন্তত পেয়ে গেছে বলার মত পুঁজি। ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা তুলেছে ৩৫৩।
ইংল্যান্ড দিন শুরু করেছিল অ্যালেস্টার কুকের সেঞ্চুরির আশায়। দলের ৪ উইকেটে ১৭১ রানে ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন কুক। কিন্তু বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ৩১তম টেস্ট সেঞ্চুরি হলো না। পুরোনো শত্রু মর্নে মর্কেল আরও একবার ফেরালেন তাকে, ৮৮ রানে।
সেই সাফল্যের রেশ থাকতে থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকার ধাক্কা। পেটের পীড়া নিয়ে ম্যাচ শুরু করা ভার্নন ফিল্যান্ডার আবারও অসুস্থতায় মাঠ ছেড়ে যান হাসপাতালে। দলের সেরা পেসারকে আর মাঠে পায়নি প্রোটিয়ারা।
মর্কেল, রাবাদারা অবশ্য পুষিয়ে দিয়েছেন ফিল্যান্ডারের অভাব। বেয়ারস্টো, মইনদের বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেননি। কিন্তু থামানো যায়নি স্টোকসকে।
স্রোতের বিপরীতে দারুণ ব্যাট করে দলের রান বাড়িয়েছেন স্টোকস। শেষ ব্যাটসম্যান জেমস অ্যান্ডারসন যখন উইকেটে যান, স্টোকসের রান ৯১। সেখান থেকেই কেশভ মহারাজের টানা তিন বলে ছক্কা!
এমনিতে ওভালের উইকেটে ৩৫৩ খুব বড় ইনিংস নয়। তবে এই টেস্টে প্রোটিয়া পেসাররা যেভাবে সুইং ও সিম মুভমেন্ট পেয়েছে, তাতে আশায় থাকতে পারে ইংলিশ পেস আক্রমণও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১০৩.২ ওভারে ৩৫৩ (আগের দিন ১৭১/৪) (কুক ৮৮, জেনিংস ০, ওয়েস্টলি ২৫, রুট ২৯, মালান ১, স্টোকস ১১২, বেয়ারস্টো ৩৬, মইন ১৬, রোল্যান্ড-জোনস ২৫, ব্রড ৩, অ্যান্ডারসন ১*; মর্কেল ৩/৭০, ফিল্যান্ডার ২/৩২, রাবাদা ৩/৮৫, মহরাজ ১/৬১, মরিস ১/৯১)।