দুই সপ্তাহের সফর শেষে সোমবার রাতে দেশে ফিরেছে এইচপি দল। ডারউইনে নর্দান টেরিটরি আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে পাঁচটি একদিনের ম্যাচ ও একটি তিন দিনের ম্যাচের সবকটি জিতেছে বাংলাদেশের দলটি।
গোটা সফরে এইচপি দলের বোলিং ছিল দারুণ ধারাবাহিক। মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোচ বোলিং নিয়ে জানালেন সন্তুষ্টির কথা।
“সব মিলিয়ে বোলিং ভালো ছিল। রনি (আবু হায়দার রনি) দারুণ বোলিং করেছে। সম্ভবত আমাদের বোলিং আক্রমণের নেতা ছিল সে। এবাদত হোসেনের উন্নতিতেও আমি খুব খুশি। দারুণ কিছু ব্যাপার আছে ওর মধ্যে। তবে ওরা সবাই শিখছে।”
“আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন দিন ছিল সম্ভবত তিন দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন। আমরা তিনটি উইকেট নিতে পেরেছিলাম, ওরা তিনশর বেশি রান করেছে। উইকেটে তেমন সাড়া ছিল না, ব্যাটসম্যানরা দারুণ ব্যাট করছিল, বল কিছু করছিল না। পরেরবার এই পরিস্থিতিতে পড়লে আমরা উইকেট বের করে আনতে পারি কি না, এসবই দেখার ব্যাপার।”
ব্যাটিংয়ে হেলমটের হতাশা ব্যাটসম্যানরা আরও বেশি বড় ইনিংস খেলতে না পারায়।
অস্ট্রেলিয়ান এই কোচের মতে, ফিটনেসের উন্নতি হলে উন্নতি দেখা যাবে ব্যাটিং-বোলিংয়েও। সঙ্গে আরও ভালো হবে ফিল্ডিংও।
“ফিটনেস ও ফিল্ডিংয়ে আমরা উন্নতি করতে পারি। আরও শক্তিশালী শরীর প্রয়োজন আমাদের, যারা লম্বা সময় ধরে বোলিং করতে পারে। শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী কিছু ব্যাটসম্যান দরকার যারা লম্বা সময় ব্যাট করতে পারে।”
তবে এইচপির সফরে জয়-পরাজয় কখনোই মূখ্য নয়। অনুশীলন কতটা ভালো হলো, মাঠের ভেতরে-বাইরে শেখা ও অভিজ্ঞতা অর্জনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোচও এসবকেই মানছেন প্রাপ্তি।
“সফরে শান্ত, সাইফ উদ্দিন ও ইরফান সেঞ্চুরি করেছে। তানবীর ৫ উইকেট নিয়েছে। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। জয়-পরাজয় এ সফরের মূল ব্যাপার ছিল না। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে এই ক্রিকেটারদের মানিয়ে নেওয়া ও উন্নতি করা, ভবিষ্যতে সব সংস্করণে বাংলাদেশ দলের জন্য গড়ে ওঠা, এসবই মূল ব্যাপার।”
“সব মিলিয়ে সফল দুর্দান্ত ছিল। অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা ও কন্ডিশন ছিল দারুণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ক্রিকেটাররা দারুণ কিছু শিখেছে। তারা বুঝতে পেরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হয়ে উঠতে হলে কোথায় উন্নতি করতে হবে।”
আসলেই কতটা বুঝতে পেরেছে ক্রিকেটাররা, এটি বলে দেবে তাদের ভবিষ্যতের পথচলাই।