বোলারদের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকার দিন

ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে ঠিক কী করতে হবে দিনের শুরুতে সেটাই যেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দেখিয়ে দিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। সেই পথ ধরেই দুই সেশনের কম সময়ে ইংলিশদের গুটিয়ে দিল অতিথিরা। দ্বিতীয় টেস্টে ১৩০ রানের লিডের ওপর দাঁড়িয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের মুঠোয় নিচ্ছেন হাশিম আমলা, ডিন এলগার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2017, 06:07 PM
Updated : 15 July 2017, 06:10 PM

ট্রেন্ট ব্রিজে ১৫ উইকেট পতনের দিতে বিপদে পড়েছে ইংল্যান্ড। শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭৫ রান। ফাফ দু প্লেসির দল এগিয়ে ২০৫ রানে।

এলগার ৩৮ ও আমলা ২৩ রানে অপরাজিত আছেন। অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে দুই জনে গড়েছেন ৫৭ রানের জুটি।

প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া জেমস অ্যান্ডারসন পেয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসের একমাত্র উইকেট। তার বলে দ্বিতীয় স্লিপে জো রুটকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন হেইনো কুন। বাকি সময়ে স্বাগতিকদের হতাশ করে দলকে এগিয়ে নেন এলগার-রুট।

দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩৫ রানে গুটিয়ে দেওয়া ইংল্যান্ড শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। ৩ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। অ্যালেস্টার কুককে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসবন্দি করে প্রথম সাফল্য এনে দেন ভার্নন ফিল্যান্ডার। পরের ওভারে কিটন জেনিংসকে বিদায় করেন মর্নে মর্কেল।

উইকেটে এসেই শট খেলতে শুরু করেন রুট। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে উড়ে যায় সব চাপ। অধিনায়কের দারুণ ব্যাটিংয়ে অতিথিদের শুরুর সাফল্য মিলিয়ে যেতে বসে। গ্যারি ব্যালান্সের সঙ্গে ৮৩ আর জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৫৭ রানের দুটি জুটিতে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান রুট।

৭৬ বলে ১২টি চারে ৭৮ রান করা অধিনায়ককে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন মর্কেল। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অতিথিরা। তারা শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ৩৭ রানে। এই উইকেটগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন কেশভ মহারাজ ও ক্রিস মরিস।

বাঁহাতি স্পিনার মহারাজ ফিরিয়ে দেন বেয়ারস্টো, বেন স্টোকস আর আর লিয়াম ডসনকে। অলরাউন্ডার মরিসের শিকার মইন আলি, স্টুয়ার্ট ব্রড ও মার্ক উড। ৬ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ২০৫ রানে।

এর আগে ৬ উইকেটে ৩০৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন তাদের ইনিংস টিকে মোটে ৬.২ ওভার, যোগ করে মাত্র ২৬ রান।

নিজের প্রতিটি ওভারে একটি করে উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাড়ে তিনশ রানের আগেই থামান অ্যান্ডারসন। এদিন মাত্র ৪ রানে ৪ উইকেট নেন এই পেসার। সব মিলিয়ে ৭২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার।

আগের দিন অর্ধশতক পাওয়া ফিল্যান্ডারকে দিয়ে শিকার শুরু করেন অ্যান্ডারসন। এরপর একে একে ফিরিয়ে দেন মহরাজ, মরিস ও মর্কেলকে। টেস্টে এনিয়ে ২২বার পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৯৬.২ ওভারে ৩৩৫ (এলগার ৬, কুন ৩৪, আমলা ৭৮, ডি কক ৬৮, দু প্লেসি ১৯, বাভুমা ২০, ফিল্যান্ডার ৫৪, মরিস ৩৬, মহারাজ ০, মর্কেল ৮, অলিভার ০*; অ্যান্ডারসন ৫/৭২, ব্রড ৩/৬৪, উড ০/৬১, স্টোকস ২/৭৭, ডসন ০/২৬, মইন ০/২১, জেনিংস ০/২)

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫১.৫ ওভারে ২০৫ (কুক ৩, জেনিংস ০, ব্যালান্স ২৭, রুট ৭৮, বেয়ারস্টো ৪৫, স্টোকস ০, মইন ১৮, ডসন ১৩, ব্রড ০, উড ৬, অ্যান্ডারসন ০*; মর্কেল ২/৪৫, ফিল্যান্ডার ২/৪৮, মরিস ৩/৩৮, অলিভার ০/৩৯, মহারাজ ৩/২১)

দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ২২ ওভারে ৭৫/১ (কুন ৮, এলগার ৩৮*, আমলা ২৩*; অ্যান্ডারসন ১/১৩, ব্রড ০/২১, উড ০/১৯, মইন ০/১৫, স্টোকস ০/১, ডসন ০/০)