২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আলো ঝলমলে টেস্ট অভিষেক হয় তাইজুলের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ইনিংসেই নেন ৫ উইকেট। নিজেদের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় নেন ৮ উইকেট। পরে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে একমাত্র ইনিংসে পান ৬ উইকেট। সেই উইকেটশিকারী তাইজুলকে দেখা যায় না ইদানিং, শেষ ৩ ইনিংসে নিয়েছেন মাত্র ২ উইকেট।
গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তরুণ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মিরাজের অভিষেকের পর বদলে যেতে থাকে তাইজুলের ভূমিকা। উইকেট নয়, দলের চাওয়ায় তার মনোযোগের কেন্দ্রে চলে আসে আঁটসাঁট বোলিং। তার সেই ভূমিকার প্রশংসা অনেকবারই মিলেছে প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকে।
সহজাত আক্রমণাত্মক বোলার তাইজুল আবার মনোযোগ দিতে চান উইকেট শিকারে। অস্ট্রেলিয়া দলে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের আধিক্যেও হয়তো তার কাছে দলের দাবিও হবে সেটাই।
“নিজের এবং দলের সবার জন্যই লক্ষ্যটা হলো ভালো কিছু করা। যদি অস্ট্রেলিয়া আসে, সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার চেষ্টা করবো।… হয়তো ইনিংসে পাঁচটা/ছয়টা উইকেট নিতে চাইবো।”
অনেক দিন ধরে স্পিনিং কোচের সন্ধানে আছে বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিব আল হাসান-মিরাজ-সানজামুল ইসলামের জন্য সঠিক কোচ এখনও খুঁজে পায়নি বিসিবি। তাইজুল জানান, বিশেষজ্ঞ স্পিন বোলিং কোচের অপেক্ষায় আছেন তারা।
“আমি মনে করি, স্পিন কোচের প্রয়োজন আছে। দেশের যাদের সঙ্গে আমরা কাজ করি, আমি যেমন সোহেল (ইসলাম) ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করি; তিনি আমাদের নানা রকম সহায়তা করেন। আর বাইরের কোচ এলেও নিশ্চয় তার কাছে অনেক কিছু জানার ও শেখার থাকবে।”
২৭ অগাস্ট মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের শক্তির সঙ্গে মানানসই উইকেট চান তাইজুল।
“আমাদের দেশে খেলা, আমরা চাইবো তার সুবিধা নিতে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা ভালো খেলেছিলাম। আশা করি, এই সিরিজেও ভালো করবো।”
“যে উইকেটে আমরা ভালো খেলি, তেমন উইকেট হলে ভালো হয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেমন উইকেট ছিল, ওই উইকেটে ভালো খেলেছি, তেমন উইকেট হলে হয়তো দেশের জন্য ভালো হয়।”