কলম্বোয় একমাত্র টেস্টের প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ৮ উইকেটে ৩৪৪ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একদিনে তাদের সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড।
এই রেকর্ড গড়া দিনের মূল কারিগর আরভিন। উইকেটে গিয়েছিলেন দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই। দিন শেষেও মাঠ ছেড়েছেন হাসিমুখে। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে করেছেন অপরাজিত ১৫১।
অথচ একসময় দুইশকেই মনে হচ্ছিলো অনেক দূরের পথ। লাঞ্চের আগেই জিম্বাবুয়ে হারিয়ে ফেলেছিল ৪ উইকেট!
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টেস্ট হচ্ছে চার বছর চার মাস পর। টসে হারলেও নতুন অধিনায়ক চান্দিমালের মুখে হাসি ফোটান পুরোনো সৈনিক রঙ্গনা হেরাথ। অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত এক আর্ম বলে রেজিস চাকাভাকে ফিরিয়ে দলকে এনে দেন প্রথম উইকেট।
পরে হেরাথ ফেরান আরেক ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকেও। অভিষিক্ত তারিসাই মুসাকান্দাকে ফেরান লাহিরু কুমারা। বোলিংয়ে এসে দ্বিতীয় ওভারে দিলরুয়ান পেরেরা ফেরান শন উইলিয়ামসকে। জিম্বাবুয়ে তখন ৭০ রানে ৪ উকেট!
আরভিনের লড়াই ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে। শুরুতে সময় নিয়ে থিতু হয়েছেন। প্রথম ৬৪ বলে বাউন্ডারি ছিল মাত্র দুটি। পরে খেলেছেন দারুণ সব শট।
আরেকপাশ থেকে উইকেট পড়েছে নিয়মিত। সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, ম্যালকম ওয়ালার, সবাই আউট হয়েছে থিতু হয়ে। রাজার সঙ্গে আরভিনের জুটি ছিল ৮৪ রানের, মুরের সঙ্গে ৪১ আর ওয়ালারের সঙ্গে ৬৫ রানের।
বড় জুটি না হলেও জিম্বাবুয়ের সব ব্যাটসম্যানই ছিলেন ইতিবাচক। স্পিনারদের বিপক্ষে সবাই খেলেছেন শট। চার উইকেট পেলেও হেরাথ রান দিয়েছেন একশর বেশি। ২৪ ওভারে মেডেন পাননি অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরা।
ইতিবাচকতায় সবার ওপরে ছিলেন আরভিন। রানের চাকা ঘুরেছে, উইকেটেও ছিলেন অটল। ১৪৬ বলে ছুঁয়েছেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। নিজের আগের সর্বোচ্চ ১৪৬ রান ছাড়িয়ে দেড়শ স্পর্শ করেন ২৩৬ বলে।
দ্বিতীয় নতুন বলের বেশ আগেই জিম্বাবুয়ে হারিয়েছিল অষ্টম উইকেট। কিন্তু নবম জুটিতে লঙ্কানদের হতাশ করেন আরভিন ও ডোনাল্ড টিরিপানো। টপ অর্ডারের মতোই ব্যাট করেছেন দশে নামা পেসার টিরিপানো। দিন শেষে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ৬২।
দিনের শেষ বলেও হেরাথকে পুল করে চার মেরে টিরিপানো যেন বুঝিয়ে দিলেন, দিনটি জিম্বাবুয়ের। গুটিকয় দর্শকের অভিবাদন আর লঙ্কান ক্রিকেটারদের পিঠ চাপড়ানো নিয়ে হাসিমুখে ফিরলেন আরভিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ৯০ ওভারে ৩৪৪/৮ (মাসাকাদজা ১৯, চাকাভা ১২, মুসাকান্দা ৬, আরভিন ১৫১*, উইলিয়ামস ২২, রাজা ৩৬, মুর ১৯, ওয়ালার ৩৬, ক্রিমার ১৩, টিরিপানো ২৪*; লাকমল ০/৫৮, কুমারা ১/৬৬, হেরাথ ৪/১০৬, পেরেরা ১/৮৬, গুনারত্নে ২/২৮)।