উইন্ডিজ দলে ফেরার দ্বারপ্রান্তে গেইল-পোলার্ড-ব্রাভোরা

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের সঙ্কট এখন ইতিবাচক সুরাহার পথে। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউআইপিএ) সমঝোতা আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আগামী মাসের ইংল্যান্ড সফরেই দেখা যেতে পারে সব তারকা ক্রিকেটারসহ পূর্ণশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2017, 07:00 AM
Updated : 14 July 2017, 07:00 AM

আবারও তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সব সংস্করণে নির্বাচনের জন্য বিবেচিত হতে যাচ্ছেন ক্রিস গেইল, কাইরন পোলার্ড, সুনিল নারাইন, ডোয়াইন ব্রাভোরা। এই ক্রিকেটারদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নির্বাচনের পথে বড় বাধা ছিল বোর্ডের একটি নিয়ম। কোনো সংস্করণে জাতীয় দলে খেলতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও সেই সংস্করণে খেলতে হবে। ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে বেড়ানো গেইল-পোলার্ডরা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন না। তবে প্লেয়ার্স ইউনিয়নের প্রস্তাবে রাজি হয়ে সেই নিয়ম শিথিল করতে যাচ্ছে বোর্ড।

সাবেক অধিনায়ক জিমি অ্যাডামস বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালক হওয়ার পর থেকেই সঙ্কট সমাধানের পথ খুঁজছিলেন। প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভেরও ছিল বড় ভূমিকা। ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলা ক্রিকেটারদের বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এই সপ্তাহেই প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাব মেনে নেবে বোর্ড।

ড্যারেন ব্রাভোর সঙ্গেও সমঝোতায় পৌঁছেছে বোর্ড। গত নভেম্বরে বোর্ড সভাপতি ডেভ ক্যামেরনকে সমালোচনা করে টুইট করার পর জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরত পাঠানো হয় বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। নিষিদ্ধ হয়ে আছেন সেই থেকেই। সমঝোতা অনুযায়ী সেই টুইটগুলি মুছে ফেলবেন ব্রাভো।

একইরকম সুরাহা হয়েছে নিকোলাস পুরানের ক্ষেত্রেও। গত বছরের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) দারুণ পারফরম্যান্সের পর গত অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অভিষেক হয় এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাকে দলে টেনেছিল লিওয়ার্ডস আইল্যান্ড। কিন্তু পরে বিপিএলে খুলনা টাইটানসে খেলার জন্য নিজেদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেননি পুরান। পরে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন পিসিএলে, হংকংয়ে ও আইপিএলে। এ বছর সিপিএলে যদিও দল পেয়েছেন বেশ বড় পারিশ্রমিকে, কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্য টুর্নামেন্টগুলোর জন্য কোনো দলই রাখেনি তাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ভবিষ্যতও ছিল অন্ধকার। এখন পাচ্ছেন আলোর রেখা।

সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটও দুঃসময়ের সুড়ঙ্গ থেকে অনেক দিন পর আলোর পথে। ওয়ানডেতে এখন তারা ৯ নম্বরে, টেস্টে ৮। অতি নাটকীয় কিছু না হলে ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য তাদের খেলতে হবে বাছাইপর্ব। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের সমঝোতার পর পারফরম্যান্সের উন্নতিও আশা করাই যায়।

তিন টেস্ট, ৫ ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে আগামী মাসে ইংল্যান্ড যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।