প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল। সাউথ্যাম্পটনে তারা জিতেছে ৩৩ বল হাতে রেখে।
রোজ বৌলে বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৪২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১৪ ওভার ৩ বলে ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
লক্ষ্য তাড়ায় জেসন রয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় ইংল্যান্ড। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ফেরার আগে ১৪ বলে করেন ২৮ রান। সে সময়ে দলের স্কোর ছিল ৪৫/১।
ঠিক একই সময়ে নিজেদের তৃতীয় উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে সময়ে তাদের বোর্ডে জমা ছিল মোটে ৩৩ রান। প্রায় ১৬ ওভার অবিচ্ছিন্ন থাকেন ডি ভিলিয়ার্স ও ফারহান বেহারডিন।
লম্বা সময় টিকে থাকলেও প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি কেউই। শেষ ৬ ওভারে চেষ্টা করেছিলেন, সে সময়ে উঠে ৫৮ রান। তাতে দেড়শ রানের কাছাকাছি যায় সংগ্রহ। কিন্তু লড়াইয়ের জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না।
তার সঙ্গে শতরানের জুটিতে বেহারডিনের অবদান ৫২ বলে ৬৪ রান। অধিনায়কের সমান বাউন্ডারি এসেছে তার ব্যাট থেকেও।
ব্যাটিং-বোলিংয়ে উদ্বোধন করা জেজে স্মাটস খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। বোল্ড হয়েছেন ম্যাচের প্রথম বলেই। অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রিজা হেনড্রিকস টিকেছেন মোটে দুই বল। এক ছক্কায় মাত্র ৯ রান করে ফিরেছেন ডেভিড মিলার। তাদের দ্রুত বিদায়ের পর লড়াই করলেও দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি ডি ভিলিয়ার্স ও বেহারডিন।
ঝড়ো শুরু দিয়ে রয়ের বিদায়ের পর বাকিটুকু সহজেই সেরেছন অ্যালেক্স হেলস ও জন বেয়ারস্টো। বিস্ফোরক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হেলস এদিন ‘শান্ত’ ছিলেন। তবে অতিথি বোলারদের চোখের জল-নাকের জল এক করে ছেড়েছেন বেয়ারস্টো।
২৯ বলে অর্ধশতক করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত ছিলেন ৬০ রানে। তার ৩৫ বলের বিধ্বংসী ইনিংসটি গড়া ৬টি চার ও দুটি ছক্কায়। তার সঙ্গে ১০.২ ওভারে ৯৮ রানের জুটি উপহার দেওয়া হেলস অপরাজিত ছিলেন ৩৮ বলে ৪৭ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো বোলারই খুব একটা ভালো করেননি। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন ওয়েইন পার্নেল ও ইমনার তাহির।
আগামী শুক্রবার হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৪২/৩ (স্মাটস ০, হেনড্রিকস ৩, ডি ভিলিয়ার্স ৬৫*, মিলার ৯, বেহারডিন ৬৪*; উইলি ১/৩৪, উড ২/৩৬, জর্ডান ০/৩১, ০/১৭, ক্র্যান ০/২৪)
ইংল্যান্ড: ১৪.৩ ওভারে ১৪৩/৩ (রয় ২৮, হেলস ৪৭*, বেয়ারস্টো ৬০*; স্মাটস ০/২০, পার্নেল ০/২৬, ফেহলুকওয়ায়ো ১/১১, তাহির ০/৩৭, শামসি ০/২৩, প্রিটোরিয়াস ০/২০)
ফল: ইংল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী