কুম্বলের পদত্যাগের ঘটনায় খেলোয়াড়দের সমালোচনায় গাভাস্কার

এক বছরে দলকে অনেক সাফল্য এনে দেওয়ার পরও বিদায় নিতে হল অনিল কুম্বলেকে। ভারত কোচের পদ থেকে কিংবদন্তি লেগ স্পিনারের বিদায়ের ঘটনায় 'জড়িত খেলোয়াড়দের' তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক দুই অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার ও বিষেন সিং বেদী।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2017, 12:53 PM
Updated : 21 June 2017, 01:12 PM

সত্যিকারের কোনো কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা ছিল না সাবেক অধিনায়ক কুম্বলের। প্রার্থীদের আসল তালিকাতেও ছিলেন না তিনি। তবে শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভিভিএস লক্ষণের তিন সদস্যের কমিটির সুপারিশে তাকে নিয়োগ দিয়ে বড় ধরনের জুয়াই খেলেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

কুম্বলের সঙ্গে অধিনায়ক বিরাট কোহলির জুটি ছিল দারুণ ফলপ্রসু। এই সময়ে ১৭ টেস্টের ১২টিতেই জিতেছে ভারত। খেলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে।

কুম্বলের অধীনে ভারত খুব সফল হলেও খেলোয়াড়দের অভিযোগ শুনে তার মেয়াদ না বাড়িয়ে প্রধান কোচের জন্য নতুন করে বিজ্ঞাপন দেয় ভারতীয় বোর্ড। সেখানে সরাসরি আবেদনও করেছিলেন কুম্বলে। তবে বোর্ড ও কোহলির সঙ্গে এক সভার পর পদত্যাগ করেন তিনি।

কোহলিরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গেলেও ইংল্যান্ডেই থেকে যান কুম্বলে। আইসিসির ক্রিকেট কমিটির প্রধান হিসেবে লন্ডনে প্রধান নির্বাহীদের সভায় অংশ নিচ্ছেন তিনি।    

এক টুইটে কুম্বলে জানিয়েছেন, অচলাবস্থার জন্যই সরে যাওয়াই তার কাছে সবচেয়ে ভালো মনে হয়েছে। ভারতের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারী লেগ স্পিনার অবাক হয়েছেন তার কোচিং স্টাইলে কোহলির আপত্তিতে।

কুম্বলের ব্যাপারে বোর্ডকে অভিযোগ জানানো ক্রিকেটারদের কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার।

“তাহলে আপনি নরম কাউকে চান। আপনি এমন একজনকে চান যে বলবে, ‘ঠিক আছে ছেলেরা, তোমরা ভালো বোধ করছো না তাই আজ আর অনুশীলন করো না। তোমরা আজ ছুটি নাও, কেনাকাটা করতে যাও।’ আপনি এই ধরনের কাউকে খুঁজছেন। যদি কোনো খেলোয়াড় অভিযোগ করে, আমি মনে করি তাদেরই দল থেকে বাদ পড়া উচিত।”

২০০৭ সালে গ্রেগ চ্যাপেলের বিশৃঙ্খল দুই বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জন রাইট, গ্যারি কার্স্টেন, ডানকান ফ্লেচারদের অধীনে অনেক সাফল্য পেয়েছে ভারত। তবে তারা প্রায় পর্দার পেছনেই ছিলেন।

বিষেন সিং বেদী মনে করেন, আত্ম-সম্মানবোধ সম্পন্ন কোনো ব্যক্তি এই পরিবেশে কাজ চালিয়ে যেতে পারতেন না। তাই কুম্বলের সিদ্ধান্তে মোটেও অবাক হননি এই সাবেক অধিনায়ক। তার কাছে এটা ভারতীয় ক্রিকেটের ক্ষতি।

গাভাস্কার মনে করেন এই ঘটনায় ভুল বার্তা দিল বিসিসিআই।

“এটা পরের কোচকে একটা ইঙ্গিত দিল- হয় খেলোয়াড়দের চাওয়ার কাছে মাথা নত করে যা চায় তাই করবেন, নয়তো ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি অনিল কুম্বলের মতো আপনাকে সরে যেতে হবে।”