এমনিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে ওঠাই বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় সাফল্য। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন ভারত, বাংলাদেশের সমর্থকদের অনেকের কাছে তখন জয়ের আকাঙ্ক্ষাও অনেক বেশি তীব্র। আর প্রত্যাশা এত বেশি থাকে বলেই সেটি পূরণ করতে না পারার হতাশা বেরিয়ে আসে নানা ভাবে।
এবার সেমি-ফাইনালের আগেও যেমন দুই দেশের সমর্থকদের চলছে প্রবল উত্তেজনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসিত ট্রলের ছড়াছাড়ি। ক্রিকেট খেলাটাকে প্রায় যুদ্ধ বানিয়ে ফেলা।
এসবে বরাবরই বিরক্ত মাশরাফি। বহুবার বলেছেন, খেলাটাকে স্রেফ খেলা হিসেবেই রাখতে। বিরক্তির সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় এবার আর সেসব নিয়ে কথাই বলতে চাইলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বরং বললেন, এসব থেকে দূরে থাকার কথা।
মাঠে নিজেদের চেষ্টায় কোনো কমতি থাকবে না, সেই কথা দিয়ে রাখলেন অধিনায়ক। অনুরোধ করলেন দলের পাশে থাকার।
“গ্রপ পর্ব উতরানোও আমাদের জন্য সহজ ছিল না। আমরা করেছি। এখান থেকে এগিয়ে যেতে হলেও কষ্ট করে যেতে হবে। আমি এতটুকুই বলব যে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করব। সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। সবাইকে বলব ধৈর্য ধরতে। বাংলাদেশের ক্রিকেট সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। কালকের ম্যাচেও সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব।”
বাংলাদেশ হারলে অধিনায়কের কথা কজন মনে রাখবেন, কে জানে!