সাকিব উইকেটে গিয়েছিলেন পঞ্চম ওভারে। ইনিংসের বাকি প্রায় পুরোটা। জিততে দরকার আড়াইশর বেশি রান। দুটোই তখন বহু দূরের বাতিঘর। শুরুতেই সেটিকে লক্ষ্য না বানিয়ে সাকিব চেয়েছে তরী বেয়ে যেতে।
“ভাবনা ছিল যতক্ষণ সম্ভব ব্যাটিং করতে থাকা। অনেক ওভার বাকি ছিল। ইদানিং তো বেশি ওভার ব্যাটিংই করতে পারি না। ইচ্ছে ছিল তাই যত বেশি সম্ভব ব্যাটিং করা। রিয়াদ ভাই এসে খুব ভালো ব্যাটিং করলেন। তিনি এসেই আমার ওপর থেকে চাপ সরিয়ে নেন।”
দুজনের সেই জুটি টিকেছে প্রায় ৩৫ ওভার। ২২৪ রানের রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে ম্যাচ জয়ের খুব কাছে। সাকিবের মতে, জুটির সাফল্যের একটি বড় কারণ ছিল পারস্পরিক বোঝাপড়া।
“আমরা কজন অনেকদিন থেকেই একসঙ্গে খেলছি। তামিমের সঙ্গে অনেকগুলো ভালো জুটি আছে। মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে আছে। রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গেও আছে অনেকগুলো। আমরা ব্যাটিংও করছি পাশাপাশি পজিশনে, তাই জুটি গড়ার সুযোগও হয়েছে বেশি। বোঝাপড়াটা তাই ভালো থাকে। কে কি করতে চাচ্ছি, পরস্পরেরটা বুঝতে পারি।”
৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দুজন উদ্ধার করেন দলকে। জুটির রান যখন ছুঁয়েছে সেঞ্চুরি, তখন থেকেই জয়ের ভাবনা খেলা করতে থাকে সাকিবের মাথায়।
“যখন দেখলাম ১০০-১১০ রানের জুটি হয়ে গেল, আশা দেখলাম। এক পর্যায়ে ২০-২২ ওভারে ১৩০-১৪০ রানের মত লাগত। টি-টোয়েন্টি অনেক খেলি, ওভার প্রতি ৭ করে রান খুব সমস্যা নয়। ভাবলাম আমরা দুজনে যদি এই ২০ ওভার ব্যাট করি, তাহলেই হয়ে যাবে, সেটা আমরা করতে পেরেছি।”
সাকিব-মাহমুদউল্লাহ সেটা পেরেছেন বলেই ধরা দিয়েছে অভাবনীয় জয়। টিকে আছে সেমি-ফাইনালের আশা।