বৃষ্টি বাঁচিয়ে দিল মাশরাফিদের
অনীক মিশকাত, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 05 Jun 2017 06:08 PM BdST Updated: 06 Jun 2017 01:00 PM BdST
বৃষ্টির বাধায় হার এড়াল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে রইল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
বৃষ্টিতে বাংলাদেশের স্বস্তি
হারলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ- এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যাটিংয়ে তালগোল পাকানো বাংলাদেশ ছিল হারের পথে। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে জয় নিয়ে ফিরতে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল কেবল আর চারটি ওভার খেলে দেওয়া। বৃষ্টির বাধায় সেই সুযোগ আর পাননি ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ।
বৃষ্টি একবার থেমেছিল, নতুন লক্ষ্যও পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর যে আবার বৃষ্টি নামলো তাতে স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে পরিত্যক্ত হয়ে গেল ম্যাচ।
ইংল্যান্ডের কাছ হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা বাংলাদেশ এই ম্যাচ থেকে পেল ১ পয়েন্ট। টানা দুই ম্যাচই পরিত্যক্ত হওয়া অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট দুই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৪.৩ ওভারে ১৮২ (তামিম ৯৫, সৌম্য ৩, ইমরুল ৬, মুশফিক ৯, সাকিব ২৯, সাব্বির ৮, মাহমুদউল্লাহ ৮, মিরাজ ১৪, মাশরাফি ০, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ১*; স্টার্ক ৪/২৯, হেইজেলউড ১/৪০, কামিন্স ১/২২, হেড /৩৩, হেনরিকেস ১/৩০, জ্যাম্পা ২/১৩, ম্যাক্সওয়েল ০/৯)
অস্ট্রেলিয়া: ১৬ ওভারে ৮৩/১ (ওয়ার্নার ৪০*, ফিঞ্চ ১৯, স্মিথ ২২*; মুস্তাফিজ ০/২৭, মাশরাফি ০/৩০, রুবেল ১/২১, মিরাজ ০/৪)
ওভালে ফের বৃষ্টি
বৃষ্টি থামার পর মাঠ তৈরি হল খেলা শুরুর জন্য, কমল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের দৈর্ঘ্য। এরই মাঝে আবার হানা দিল বৃষ্টি, আবার মাঠ ঢাকা হল কাভারে।
বৃষ্টির বাধায় ম্যাচের অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের দৈর্ঘ্য কমেছে ৭ ওভার। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে নতুন লক্ষ্য পেয়েছে স্টিভেন স্মিথের দল। জয়ের জন্য ৪৩ ওভারে প্রয়োজন ১৬৬ রান
স্থানীয় সময় সাড়ে ৮টায় খেলা শুরু
বৃষ্টি থেমেছে, সরানো হয়েছে কাভার। মাঠ পরিদর্শন করেছেন আম্পায়াররা। ওভালে খেলা আবার খেলা শুরু হবে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
বৃষ্টি থেমেছে, সরানো হচ্ছে কাভার
থেমেছে বৃষ্টি, সরানো হচ্ছে ওভালের সেন্টার উইকেটের কাভার। স্থানীয় সময় রাত ৮টায় মাঠ পরিদর্শন করবেন আম্পায়াররা। ম্যাচের ফল হতে হলে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে আরও চার ওভার খেলা হতে হবে।
বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ
কিছুক্ষণ ধরে খেলা হচ্ছিল বৃষ্টির মধ্যেই, ১৬তম ওভার শেষে বাড়ল তার দাপট। বন্ধ হয়ে গেল খেলা। মুখ ভার করে মাঠ ছাড়লেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ।
১৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮৩ রান। ৪৪ বলে ওয়ার্নারের রান ৪০, স্মিথের ২৫ বলে ২২।
ম্যাচের ফল হতে অস্ট্রেলিয়ার আরও চার ওভার খেলতেই হবে।
Unfortunately the has arrived at The Oval, with Australia cruising on 83/1 #AUSvBAN
Scorecard ➡️ https://t.co/HhMfRijT0P pic.twitter.com/nAAFMJoe60
উইকেটের সন্ধানে থাকা বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন রুবেল হোসেন। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার জায়গায় বোলিং এসেই এলবিডব্লিউ করেছেন অ্যারন ফিঞ্চকে।
অষ্টম ওভারে ২৭ বলে ১৯ রান করে ফিঞ্চের বিদায়ের সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১ উইকেটে ৪৫ রান। ২৪ রান করা ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ।
উইকেট বৃষ্টির পর আসল বৃষ্টি
১৫ বলের মধ্যে বাংলাদেশ শেষ ৪ উইকেট হারানোর পর নামে বৃষ্টি। ইনিংস বিরতির সময় ঢাকা রয়েছে ওভালে সেন্টার উইকেট। এখনও বৃষ্টি খুব ভারী নয়। তবে বিকেল থেকে রাত জুড়েই টানা বৃষ্টির শঙ্কা আছে।
তামিমের একার লড়াই
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাকিবের ২৯। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বাইরে দুই অঙ্কে যান কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ (১৪)।
মাত্র ১ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চারটি উইকেটই নেন বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। সুইং বোলিংয়ে শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেধে রাখেন অস্ট্রেলয়ার পেসাররা। মাঝের ওভারে স্পিনাররাও খুব একটা রান দেননি। অনেক দেরিতে বোলিংয়ে আসা লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা ২ উইকেট নেন ১৩ রানে।
১৮২ রানে অলআউট বাংলাদেশ
শেষটায় রানটা আরেকটু বাড়িয়ে নিতে মরিয়া ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পারেননি তরুণ এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। ১৪ রান করে ফিরেছেন মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে। আগের ম্যাচে তিনশ ছাড়ানো বাংলাদেশ এবার দুইশ পর্যন্তও যেতে পারেনি, থেমেছে ১৮২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৪.৩ ওভারে ১৮২ (তামিম ৯৫, সৌম্য ৩, ইমরুল ৬, মুশফিক ৯, সাকিব ২৯, সাব্বির ৮, মাহমুদউল্লাহ ৮, মিরাজ ১৪, মাশরাফি ০, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ১*; স্টার্ক ৪/২৯, হেইজেলউড ১/৪০, কামিন্স ১/২২, হেড /৩৩, হেনরিকেস ১/৩০, জ্যাম্পা ২/১৩, ম্যাক্সওয়েল ০/৯)
৯৫ রানে তৃতীয়বার তামিম
ধারাভাষ্যকার বলছিলেন, একটি শটেই তিন অঙ্কে যেতে পারেন তামিম ইকবাল। সে সময়ে ৯৪ রানে ছিলেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। পারেননি তিনি, ফিরেন ১ রান যোগ করেই। মিচেল স্টার্কের বল লেগে ঘুরাতে গিয়ে ক্যাচ দেন লং লেগে।
এনিয়ে তিনবার ৯৫ রানে ফিরলেন তামিম। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম নার্ভাস নাইনটিজের দেখা পান। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরেন সেই ৯৫ রানে।

স্টার্কের সেই ওভারে আরও এলোমেলো হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। পরপর দুই বলে বোল্ড হয়ে যান মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেন। হ্যাটট্রিক হয়েই যেত, একটুর জন্য বোল্ড হননি মুস্তাফিজুর রহমান।
৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৮১/৯। এক ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে তাদের দুইশ পর্যন্ত যাওয়াই এখন শঙ্কায়।
জ্যাম্পার দ্বিতীয় শিকার মাহমুদউল্লাহ
আগের বলে এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন থেকে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। অ্যাডাম জ্যাম্পার পরের বলে টেনে আনেন স্টাম্পে, বোল্ড।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আগের ওভারে ছক্কা হাঁকানো মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলেন দলকে আরও চাপে রেখে। টানা দুই ওভারে উইকেট নিলেন অনেক দেরিতে আক্রমণে আসা লেগ স্পিনার জ্যাম্পা। তার বোলিং ফিগার ২-১-৩-২।
৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৩/৬। ৮২ রান করা তামিম ইকবালের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন দলে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ।
এসেই সাব্বিরকে ফেরালেন জ্যাম্পা
জন হেস্টিংসের জায়গায় দলে আসা অ্যাডাম জ্যাম্পাকে কোনো কারণে বোলিংয়ে আনছিলেন না স্টিভেন স্মিথ। অবশেষে ৩৫ ওভারে আনলেন, উইকেট-মেডেনে লেগ স্পিনার দেখালেন নিজের সামর্থ্য।
অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া বলে একস্ট্রা কাভারে স্টিভেন স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাব্বির রহমান। ১৪ বলে তিনি ৮ রান করে ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৪১/৫।
তামিমের দুই ছক্কার পর আউট সাকিব
ট্যাভিস হেডের ওভারটি হতে যাচ্ছিল বাংলাদেশের। টানা দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে দলকে চাপে ফেলে সেই ওভারেই এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান। তাতে ভাঙল ১৩.৩ ওভার স্থায়ী ৬৯ রানের জুটি।
অফ স্পিনারের বলে অনেকটা এগিয়ে খেলার পরও আম্পায়ার নাইজেল লং আউট দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়েছিলেন সাকিব। প্যাডে লাগার সময় বলের কিছু অংশ অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল। তবে আম্পায়ার আউট দেওয়ায় পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত। ৪৮ বলে দুটি চারে ২৯ রান করে ফিরেন সাকিব।
৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের ১২৪/৪। ৬৮ রান করা তামিমের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন সাব্বির রহমান।
Back-to-back sixes for Tamim Iqbal but he's losing partners at the other end. Bangladesh 122/4 from 30 overs at The Oval #AUSvBAN pic.twitter.com/dldJ9emvDl
ধীরে ধীরে বাড়ছে বাংলাদেশের রানের গতি। ১৪.৫ ওভারে পঞ্চাশে যাওয়া দলটির সংগ্রহ তিন অঙ্কে গেছে ২৭তম ওভারে।
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তামিমের অর্ধশত রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে অর্ধশতক পেয়েছেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। চার হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলা সাকিব বেশ সাবধানী।
চতুর্থ উইকেটে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের অর্ধশত রানের জুটি এসেছে ৬৬ বলে।
২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৬/৩। ৭৮ বলে তামিমের রান ৫৩, ৪৪ বলে সাকিবের ২৮। জুটির রান তখন ৫৩।
তামিমের অর্ধশতক
ময়জেস হেনরিকেসের পরের ওভারের প্রথমটি খেললেন দেখেশুনে। পরে বলে যেন ক্ষেপে গেলেন, এগিয়ে এসে হাঁটু গেড়ে উড়ালেন কাভার দিয়ে। ম্যাচের প্রথম ছক্কা। তৃতীয় বলে এগিয়ে এসে পুল- মিড দিয়ে এলো চার।
সেই ওভারে শেষ ওভারে চার হাঁকিয়ে গেলেন অর্ধশতকের কাছে, দলকে এনে দিলেন ১৬ রানের বড় ওভার।
ট্র্যাভিস হেডের বলে সিঙ্গেল নিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছানোর সময় তামিম খেলেছেন ৬৯ বল। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি চার আর একটি ছক্কা। আগের ম্যাচেই দারুণ এক শতক করা তামিম দলকে পথ দেখাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও।
২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯১/৩। তামিমের রান ৫০, সাকিব আল হাসানের ১৬।
কাট করে ক্যারিয়ারে প্রচুর রান পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। আউটও হয়েছেন অনেকবার। আরও একবার সেই অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের। বেঁচেছেন অল্পের জন্য, মিচেল স্টার্কের বলে ব্যকওয়ার্ড পয়েন্টে তার ক্যাচ ছেড়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সে সময় ১১ রানে ছিলেন সাকিব।
মুশফিক টেরই পাননি!
সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েসের পর দ্রুত বিদায় নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ময়জেস হেনরিকেসের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন। তবে হটস্পট ও রিয়েল টাইম স্নিকোয় দেখা গেছে বল ব্যাট স্পর্শ করেছিল প্যাডে লাগার আগে।
শট খেলেই দৌড়াতে শুরু করা মুশফিক আর আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর থামেননি। বুঝতেই পারেননি ব্যাটের কানায় আলতো ছুঁয়েছিল বল।
১৭তম ওভারে ২০ বলে ৯ করে মুশফিক ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৫৩/৩।
সহজ ক্যাচ দিয়ে ইমরুলের ফেরা
সুইং বোলিংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেধে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। বাজে বল একদমই আসছে না, স্কোরিংয়ের সুযোগও মিলছে কম। প্রথম ১০ ওভারে এসেছে মোটে তিনটি চার, তিনটিই তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে।
একাদশ ওভারের শুরুতে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। প্যাট কামিন্সের বলে কাভার পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চকে। ১৬ বল ৬ রান করে ইমরুলের বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ৩৭/২।
Pat Cummins dismissed Imrul Kayes to take his first wicket of #AUSvBAN
WATCH: https://t.co/sjQaQQJBRb pic.twitter.com/5sv0PozBIp
জশ হেইজেলউডের বলে খোঁচা মেরে শুরুতেই ফিরেছেন সৌম্য সরকার। বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের টাইমিং হচ্ছিল না এদিন।
ষষ্ঠ ওভারে ১১ বলে ৩ রান করে সৌম্যর বিদায়ের পর বাংলাদেশের স্কোর ২২/১। তামিম ইকবাল খেলছেন আস্থার সঙ্গে। ২১ বলে তিনটি চারে করেছেন ১৫ রান।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলা বাংলাদেশ বোলিংয়ে শক্তি বাড়িয়েছে। মোসাদ্দেক হোসেনের জায়গায় একাদশে ফেরানো হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। দুই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের মধ্যে বোলিংয়ের দিক থেকে অনেক এগিয়ে মিরাজ।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
একটি পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়া দলেও
বাংলাদেশের মতো একটি পরিবর্তন এসেছে অস্ট্রেলিয়া দলে। পেসার জন হেস্টিংসের জায়গায় একাদশে ফিরেছেন লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা।
অস্ট্রেলিয়া দল: স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্স, অ্যারন ফিঞ্চ, জশ হেইজেলউড, ট্রাভিস হেড, ময়জেস হেনরিকেস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্ক, ম্যাথু ওয়েড, অ্যাডাম জ্যাম্পা।
Bangladesh win the toss and bat first against Australia in the first day-nighter of #CT17! #AUSvBAN https://t.co/HhMfRijT0P pic.twitter.com/3aAZt2VaYt
কেনিংটন ওভালে সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন বলে জানান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও।
সকাল থেকেই রোদ-মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি চলছে লন্ডনে। আকাশ এই মেঘলা তো এই পরিস্কার। এখনই রোদ তো একটু পরই বৃষ্টি। বিকেল থেকে রাত জুড়েই টানা বৃষ্টির শঙ্কা আছে।
সেমি-ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটের হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা মাশরাফি বিন মুর্তজার দল মুখিয়ে ভুল-ত্রুটি কাটিয়ে জয় পেতে।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। তাই সমীকরণ খুব কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য। টিকে থাকতে হলে জিততে হবে দুই দলের বিপক্ষেই।
fans here in their numbers again! #AUSvBAN #CT17 pic.twitter.com/RHJRI7Mqmz
বাংলাদেশ ২
২০১১ সালের এপ্রিলে দুই দল সর্বশেষ ওয়ানডেতে খেলেছিল। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে দুই দলের লড়াই ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। ছয় বছর পর আবার এই সংস্করণে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচের আগে ফিরে আসছে কার্ডিফের এক লড়াই। ২০০৫ সালের জুনে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিতে বাংলাদেশ হারিয়ে দিয়েছিল সেই সময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন প্রবল পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়াকে।
-
লম্বা আইপিএলের পর এখনই টেস্ট খেলতে ‘চান না’ মুস্তাফিজ
-
‘কোনো কারণ ছাড়াই’ ঢাকায় আসছেন আইসিসি চেয়ারম্যান
-
স্পিনারের ‘ক্রাইসিস’, মিরপুরে মোসাদ্দেকের অফ স্পিনেই ভরসা
-
ভারত-দ.আফ্রিকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে থাকবে শতভাগ দর্শক
-
হজে যাওয়ার জন্য উইন্ডিজ সফরে থাকছেন না মুশফিক
-
মেয়েদের ডিপিএলের ৩ ম্যাচই পরিত্যক্ত
-
ওভারে ৬ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৯ বলে ফিফটি মইনের
-
২০২৩ আইপিএলেও চেন্নাইয়ের ‘অধিনায়ক’ ধোনি
সর্বাধিক পঠিত
- স্বর্ণ উদ্ধার করে মাদকের মামলা: চাকরি গেল এসপি আলতাফের
- কানের গালিচায় নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ
- ফাইনালের আগে আবারও রিয়ালের হোঁচট
- বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ভ্যানে, প্রাণ গেল ২ জনের
- ওভারে ৬ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৯ বলে ফিফটি মইনের
- মাঙ্কিপক্স নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- বেঙ্গালুরুতে তরুণীকে নির্যাতন: হৃদয় বাবুসহ ১১ বাংলাদেশি দণ্ডিত
- অবশিষ্ট যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণ, শেষ হল ইস্পাত কারখানার অবরোধ
- চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়েও তৃপ্তিদায়ক ইপিএলের শিরোপা!
- নাঈমের বিকল্প ভাবনায় কয়েকজন