শনিবার রাতে লন্ডনে হামলার সময় দল হোটেলেই ছিল। টিভিতে সংবাদ দেখেছেন সবাই, খোঁজ রেখেছেন নানাভাবে। তবে শঙ্কা ভর করেনি।
হামলার ঘটনায় সহমর্মী মাশরাফি। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, এবার অন্তত বাস্তবতা বুঝবেন অনেকেই।
“নিরাপত্তা আইসিসি ভাববে, আমাদের ভাবার কিছু নেই। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা তো বেশিরভাগ সময় হোটেলেই থকি। হোটেলে নিরাপত্তা বেশ ভালো। এই ধরনের ঘটনা পৃথিবীর সব জায়গায় ঘটছে। একদিক থেকে আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো হলো যে এসবের মধ্যেও আমরা খেলছি। এরকম কারণে আমাদের ওখানে অনেক সময় খেলে না। এখন তারা বুঝতে পারবে।”
২০১৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল স্টিভেন স্মিথের দলের। নিরাপত্তা শঙ্কায় শেষ মুহূর্তে সফর স্থগিত করে দেশটি। বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আসেনি তারা। গত বছরের শুরুতে বাংলাদেশে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি অস্ট্রেলিয়া। সফলভাবেই শেষ হয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ।
গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকার গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর ইংল্যান্ডের সফর নিয়েও ছিল শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড সফর করলেও যাননি ওয়ানডে অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান ও ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। অস্ট্রেলিয়া এবারও সফর আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি এখনও।
“ইংল্যান্ড বাংলাদেশে যাওয়ার পর আমরা বলেছিলাম যে ওদের প্রতি কৃতজ্ঞ। হয়ত মর্গ্যান বা হেলসের ভেতর অন্যরকম ভীতি কাজ করেছিল। এখন হয়ত তারাও বুঝবে, কারণ তাদের দেশেও হচ্ছে।”
“পৃথিবীর সব জায়গায় এসব হচ্ছে। যেদিকে তাকান, অনেক সিকিউরড দেশেও। আমাদের দেশে যে নিরাপত্তা থাকে, কিছু হওয়ার সুযোগই নেই।”
অস্ট্রেলিয়া দলকে নিরাপত্তা নিয়ে বিশদ জানানো হয়েছে রোববার সকালে। স্টিভেন স্মিথ তাতে আশ্বস্তই।
“যেটা হয়েছে সেটা অবশ্য ভয়ঙ্কর। সেই সময় ছেলেরা একটু ভড়কে গিয়েছিল, কেউ বুঝে উঠতে পারেনি কি করা উচিত। আমাদের নিরাপত্তা দল আমাদেরকে হোটেলেই রেখেছে নিরাপদে। আমাদেরকে বলা হয়েছে, হোটেলের কাছাকাছি সবসময় থাকতে। নিরাপত্তা নিয়ে জানানো হয়েছে দলকে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা দল বেশ আশ্বস্ত।”
আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হামলার পর সব দলের খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে, হোটেলে নিরাপত্তা আরও জোরালো করা হয়েছে। সবাইকে নিরাপদ রাখাই সবকিছুর আগে প্রাধান্য দেওয়া হবে, সেটির নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।