২০১১ বিশ্বকাপে ইংলিশদের ২ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ওয়েন মর্গ্যানের দলকে ১৫ রানে হারিয়ে বিদায় জানিয়েছিল বিশ্বকাপ থেকে। আরেকটি আইসিসি টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ঘুরে ফিরে আসছে সেই দুই ম্যাচের কথা।
৮ দলের টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বৃহস্পতিবার ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলছিলেন বদলে যাওয়া ইংল্যান্ড দল সম্পর্কে।
গত বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেতে জয়-পরাজয়ের অনুপাতে ইংল্যান্ড আছে কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার পিছনে (২.০৯০)। এই সময়ে জয়-পরাজয়ের অনুপাতে বাংলাদেশও (১.১১১) এগিয়েছে অনেকটা। তবে মাশরাফির দলের চেয়ে এগিয়ে আছে গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষ।
ইংল্যান্ড (১.৬১৫), অস্ট্রেলিয়া (১.৩৩৩) ও নিউ জিল্যান্ডের (১.১৭৬) উপস্থিতিতে বাংলাদেশের গ্রুপ ভীষণ কঠিন। তবে ক্রমশ উন্নতির পথে থাকা দলকে নিয়ে আশাবাদী মাশরাফি।
“(দুই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়) অনেক আগের ব্যাপার। ইংল্যান্ড এখন পুরো ভিন্ন এক দল। শেষ দুই বছরে ওরা অনেক ম্যাচ জিতেছে। বিশেষ করে দেশের মাটিতে ওরা দারুণ। কাজেই আমরা বলতে পারি না সে সবের পুনরাবৃত্তি করব।”
অনেক উন্নতি করেছে বাংলাদেশও। টুর্নামেন্ট শুরু করছে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ছয় নম্বর থেকে।
“আমরা জানি যে আমরাও আগের চেয়ে ভালো দল। উন্নতির পথে থাকা দল। গত দুই বছরে ভালো খেলছি। দেশের বাইরে অবশ্যই কাজটা চ্যালেঞ্জিং। তবে সেটা শুধু আমাদের জন্য নয়, সবার জন্যই। আশা করি, এবার আমরা সেরাটা খেলব।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের ছাপ ফেলতে অনুপ্রেরণার অভাব নেই মাশরাফিদের।
“প্রথমবারের মতো সত্যিকারের যোগ্যতায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলছি। ছেলেরা তাই দারুণ রোমাঞ্চিত। তারা সেরাটাই ঢেলে দেবে।”