নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আবাহনীর পাশে গাজী

নাসির হোসেন আয়ারল্যান্ড থেকে ফেরার পর কক্ষপথে ফিরেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এতে সবচেয়ে বড় অবদান অধিনায়কেরই। এই তরুণের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আবাহনীর পাশে বসেছে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের শিষ্যরা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2017, 11:45 AM
Updated : 31 May 2017, 11:45 AM

সুপার লিগে মঙ্গলবার বৃষ্টির দাপটে প্রাইম ব্যাংক-গাজীর ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪৩ ওভারে। ওই দিন মোটে চার বল খেলা হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডেতে।

বুধবার দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন নাসির। ৪২ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর অপরাজিত অর্ধশতকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ‘দ্য ফিনিশার’ নামে পরিচিত এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৯ ওভার ১ বলে ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। জবাবে ৩৮ ওভার ৪ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গাজী।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দলকে ভালো শুরু এনে দেন এনামুল হক ও মুমিনুল হক। দুই জনের ৬১ রানের জুটিতে ১ উইকেটে ৮৭ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়ায় গাজী।

এনামুল-মুমিনুলের ইনিংসে নেই কোনো চার। দুই জনে মিলিয়ে হাঁকান ৫টি ছক্কা। ৫২ বলে ৩টি ছক্কায় ৪৫ রান করে ফিরেন এনামুল। বাঁহাতি মুমিনুল ৪১ বলে দুটি ছক্কায় করেন ৩৩ রান।

৩২ রানের মধ্যে দুই থিতু ব্যাটসম্যানের সঙ্গে জহুরুল ইসলাম ও গুরকিরাত সিংকে হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে গাজী। সেখান থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন নাসির। অধিনায়ককে দারুণ সঙ্গে দেন নাদিফ চৌধুরী।

৬১ রানে অপরাজিত ম্যাচ সেরা নাসিরের ৬৪ বলের ইনিংসটি গড়া ৯টি চারে। এক ছক্কায় ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন নাদিফ।

এবারের লিগে ৬ ম্যাচে নাসিরের রান ৪২১। মোটে একবার আউট হওয়ায় তার গড়ও তাই।

এর আগে ১ উইকেটে শূন্য রান নিয়ে রিজার্ভ ডেতে খেলা শুরু করা প্রাইম ব্যাংককে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান শানাজ আহমেদ ও জাকির হাসান। তাদের ৯০ রানের জুটির ওপর ভর করে বড় সংগ্রহের পথে ছিল দলটি।

৪৭ রান করে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের জাকিরের বিদায়ের পর বদলাতে শুরু করে খেলার চিত্র। অর্ধশতক করে ফিরে যান শানাজও। ৭৫ বলে এই উদ্বোধী ব্যাটসম্যান করেন ৫৪ রান। এই দুই জন ছাড়া আর কেউ খুব একটা ভালো না করায় লড়াইয়ের পুঁজি পায়নি দল।

এক সময়ে ৪ উইকেটে ১৫০ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। দ্বিতীয় উইকেটের পর হয়নি আর কোনো জুটি। ২৩ রানে পড়েছে শেষ ৬ উইকেট, শেষ ৫ ব্যাটসম্যানের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। তাই আরও বেশি রানের সম্ভাবনা জাগিয়েও প্রাইম ব্যাংক থামে দুইশর অনেক আগে।

গাজীর ভারতীয় অলরাউন্ডার গুরকিরাত সিং ও আবু হায়দার নেন তিনটি করে উইকেট।  

১৪ ম্যাচে আবাহনী ও গাজীর পয়েন্ট ২২ করে। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের চলতি আসরের বাকি আর দুই রাউন্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৩৯.১ ওভারে ১৭৩ (মারুফ ০, শানাজ ৫৪, জাকির ৪৭, ঈশ্বরণ ১২, আসিফ ২০, তাইবুর ২০, আরিফুল ৩, নাহিদ ৩, রায়হান ৬, নাজমুল ৩, আল আমিন ২*; হায়দার ৩/৩২, হোসেন ০/১৫, গুরকিরাত ৩/২৭, মেহেদী ০/২৪, নাসির ২/৪২, শুভ ১/৩০)

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৩৮.৪ ওভারে ১‌৭৭/৫ (এনামুল ৪৫, মুনিম ১৪, মুমিনুল ৩৩, নাসির ৬১*, জহুরুল ৩, গুরকিরাত ১, নাদিফ ১৮*; আল আমিন ১/৩৫, নাজমুল ১/৪৪, রায়হান ০/৩৪, নাহিদ ২/২৯, তাইবুর ১/৩৩)

ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৫ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাসির হোসেন