তৃতীয় ওয়ানডেতে প্রথম ৫ ওভারে ২০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে এক রকম ছিটকে যায় ইংল্যান্ড। জনি বেয়ারস্টো খানিকটা প্রতিরোধ গড়লেও লড়াইয়ের পুঁজি আর গড়া হয়নি তাদের। হাশিম আমলার রেকর্ড গড়ার দিনে অতিথিরা জিতেছে ৭ উইকেটে।
লর্ডসে সোমবার টস হেরে ব্যাট করতে ৩১.১ ওভারে ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ওয়ানডেতে প্রথম দল হিসেবে মতো প্রথম ৫ ওভারে ৬ উইকেট হারায় তারা। রাবাদা বিদায় করেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জেসন রয় ও অ্যালেক্স হেলসকে। তরুণ এই পেসার পরে বিদায় করেন জস বাটলার ও আদিল রশিদকে।
ডেভিড উইলির সঙ্গে ৬২ আর অভিষিক্ত টোবি রোল্যান্ড-জোনসের সঙ্গে ৫২ রানের দুটি জুটিতে দেড়শ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান বেয়ারস্টো। ৬৭ বলে ৮টি চারে ৫১ রান করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে কেশভ মহারাজ। এরপর আর বেশিদূর এগোয়নি ইংলিশদের ইনিংস।
৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার রাবাদা। শুরুতে ইংলিশদের কাঁপিয়ে দেওয়া এই পেসার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তিনটি করে উইকেট নেন মহারাজ ও পার্নেল।
জবাবে ২৮ ওভার ৫ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে সহজ জয়ের পথে নিয়ে যান আমলা। ৫৪ বলে ১১টি চারে ৫৫ রান করার পথে সবচেয়ে কম ইনিংসে ৭ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছার রেকর্ড গড়েন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
৬ রানের মধ্যে আমলা-ডি কক ও ফাফ দু প্লেসির দ্রুত বিদায়ে খানিকটা চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ডি ভিলিয়ার্সকে নিয়ে দলকে ১২৭ বল বাকি রেখে দলকে অনায়াস জয় এনে দেন জেপি দুমিনি।
২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে ইংল্যান্ডকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া মর্গ্যান জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৩১.১ ওভারে ১৫৩ (রয় ৪, হেলস ১, রুট ২, মর্গ্যান ৮, বেয়ারস্টো ৫১, বাটলার ৪, রশিদ ০, উইলি ২৬, রোল্যান্ড-জোনস ৩৭*, বল ৭, ফিন ৩; রাবাদা ৪/৩৯, পার্নেল ৩/৪৩, মর্কেল ০/১৫, মহারাজ ৩/২৫, মরিস ০/২৯)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮.৫ ওভারে ১৫৬/৩ (আমলা ৫৫, ডি কক ৩৪, দুমিনি ২৮*, দু প্লেসি ৫, ডি ভিলিয়ার্স ২৭*; উইলি ০/৪৩, বল ২/৪৩, ফিন ০/৩৫, রোল্যান্ড-জোনস ১/৩৪)