তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম পর্ব শেষ করেছিল খেলাঘর। প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা আরেক দল পারটেক্সের পয়েন্ট ছিল ২, সমান পয়েন্ট নিয়ে রেলিগেশনের শঙ্কায় ওই পর্ব শেষ করেছিল ভিক্টোরিয়া।
ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের অন্যতম বড় দল ভিক্টোরিয়া আর লড়াইয়ের সুযোগই পেল না। পারটেক্সের হারে দুই দলকেই নেমে যেতে হবে প্রথম বিভাগে। নিয়মরক্ষার দুই ম্যাচে ভিক্টোরিয়া খেলবে পারটেক্স ও খেলাঘরের বিপক্ষে।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সোমবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৫ ওভার ১ বলে চলতি আসরের সর্বনিম্ন ৭৩ রানে অলআউট হয়ে যায় পারটেক্স। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ৮৪ ছিল আগের সর্বনিম্ন।
শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় পারটেক্স। গড়ে উঠেনি তেমন কোনো জুটি। দুই অঙ্কে যান মোটে তিন জন, তাদের কেউ যেতে পারেননি ত্রিশের ঘরে। সর্বোচ্চ ২৭ রান অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরের। তার সঙ্গে রাকিন আহমেদের ৩১ রানের জুটিই সেরা। বিশের ঘরে যেতে পারেনি আর কোনো জুটি।
১৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খেলাঘরের সেরা বোলার তানভির। দারুণ বোলিংয়ের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই। এবারের লিগ দিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই তরুণ টুর্নামেন্ট শেষ করলেন ১৪.২৬ গড়ে ২৬ উইকেট নিয়ে।
জবাবে ১৫ ওভার ১ বলে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় খেলাঘর। ৩৮ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় ৩৪ রান করেন রবিউল ইসলাম রবি। তিনটি চারে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন অমিত মজুমদার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ২৫.১ ওভারে ৭৩ (জনি ২, সাজ্জাদ ০, ইরফান ২৭, রাকিন ৭, সাজ্জাদুল ০, জুবায়ের ১১, মাসুম ১২*, রাজিবুল ৯, বিশ্বনাথ ১, মামুন ০, ইমরান ১; ডলার ২/২২, রবি ১/১৩, তানভির ৬/১৮, মেনারিয়া ১/১১, আরিফুল ০/৮)
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি: ১৫.১ ওভারে ৭৭/২ (রবি ৩৪, সালাউদ্দিন ১৫, অমিত ২৩*, মেনারিয়া ০*; মামুন ০/৮, ইমরান ১/১৮, বিশ্বনাথ ০/২২, মাসুম ১/৮, রাজিবুল ০/১৩, জনি ০/৪, রাকিন ০/৪)
ফল: খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তানভির ইসলাম