প্রস্তুতিতে জোর দিচ্ছেন যুবাদের নতুন কোচ

দেশের মাটিতে গত আসরে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ; অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যেটি দলের সেরা সাফল্য। পরের বিশ্বকাপ নিউ জিল্যান্ডে। এই সাফল্য ছাড়ানো বহুদূর, ধরে রাখাও হবে কঠিন। নতুন কোচ ডেমিয়েন রাইট তাই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন প্রস্তুতিতে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2017, 12:17 PM
Updated : 23 May 2017, 12:17 PM

আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত রাইটকে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। যুব বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর আগামী ১২ জুন শুরু হবে নিউ জিল্যান্ডে। নতুন অভিযানে রাইট কাজ শুরু করবেন জুলাই থেকে।

সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার ২০১১ সলে ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকেই জড়িয়েছেন কোচিংয়ে। নিউ জিল্যান্ডের বোলিং কোচ হিসেবে শুরু। কাজ করেছেন ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া ও তাসমানিয়ায়, বিগ ব্যাশে মেলবোন স্টার্স ও হোবার্ট হারিকেন্সে।

তবে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে কাজ করবেন এই প্রথম। বাংলাদেশেও এলেন প্রথমবার। মঙ্গলবার বিসিবি একাডেমিতে দেখা করেছেন নতুন ছাত্রদের সঙ্গে, কাটিয়েছেন কিছুটা সময়। দায়িত্ব নিতে বেশ মুখিয়ে ৪১ বছর বয়সী কোচ।

“এখানে আসতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। ছেলেদের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। দারুণ এক ঝাঁক ছেলে। ওদের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।”

“কোচিংয়ে সম্পৃক্ত আছি বেশ কিছুদিন। এই ছেলেদের সঙ্গে কাজ করতে এবং ওরা খেলাটাকে কতটা ভালোবসে, সেটি দেখতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি। আমি চাই ওরা পরবর্তী সেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখুক। সেটাই আমাকে রোমাঞ্চিত করছে।”

বাংলাদেশের বিভিন্ন সময় কাজ করে যাওয়া শেন জার্গেনসেন, শেন ডিটজ, পল ক্লোজ, স্টুয়ার্ট কার্পিনেন বেশ ভালো বন্ধু রাইটের। তাদের কাজ থেকে খোঁজ নিয়েছেন এখানকার ক্রিকেট সম্পর্কে। অনূর্ধ্ব-১৯ দল, এটির কোচিং স্টাফ ও কাঠামো নিয়েও ধারণা নিয়েছেন নানাভাবে।

তবে রাইটের সামনে সময় খুব বেশি নেই। জুলাইয়ে দায়িত্ব নিলে হাতে সময় পাবেন ৬ মাস। নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনটাকেই মানছেন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দলকে প্রস্তুত করতেও চান সেভাবেই।

“বিশ্বকাপের আগে ৬ থেকে ৮ মাস সময় আছে। আমি নিশ্চিত করতে চাই ওদের বিশ্বকাপ যেন ভালো কাটে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের মতো দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। বিশ্বকাপের আগে ওই কন্ডিশনের সঙ্গে ওদের পরিচিত করাতে হবে।

“নিউ জিল্যান্ডে আরও ঠাণ্ডা থাকবে, সিমে পড়ে বল একটু মন্থর গতিতে নড়বে। নিশ্চিত করতে হবে যেন আমরা প্রস্তুত থাকি। অবশ্যই আমরা সব কন্ডিশনেই জিততে পারি। মূল ব্যাপার হলো প্রস্তুতি ও মানিয়ে নেওয়া। আমি নিশ্চিত করতে চাই যেন আমাদের ছেলেরা এটা বুঝতে পারে।”

নিউ জিল্যান্ডে আগের দুটি যুব বিশ্বকাপে (২০০২ ও ২০১০) প্লেট পর্বে খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। রাইট তার ভাবনা মতো এগোতে পারলে হয়ত এবার অন্তত হবে আরেকটু ভালো কিছু!