শুরুত অধিনায়ক টম ল্যাথামের সেঞ্চুরি, মাঝে রস টেইলরের ফিফটি আর শেষে কলিন মানরোর ঝড়। রোববার ডাবলিনের ম্যালাহাইডে ৩৪৪ রানের পাহাড় গড়ে নিউ জিল্যান্ড। পরে দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ তারা জিতে নেয় ১৯০ রানে। ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৫৪ রানেই।
এই ত্রিদেশীয় সিরিজের কোনো ফাইনাল নেই। ৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নিউ জিল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল এক ম্যাচ আগেই। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের রানার্সআপ হাওয়া নিশ্চিত। সব ম্যাচ খেলে ফেলা স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের ঝুলিতে ২ পয়েন্ট।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের লড়াই ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। ওই ম্যাচ জিতে থাকলে এখনও সম্ভাবনা টিকে থাকত বাংলাদেশের।
আইপিএল থেকে ফিরে আসা ম্যাট হেনরি, অ্যডাম মিল্ন ও কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে এদিন আরও বেশি শক্তিশালী ছিল নিউ জিল্যান্ড। ম্যালাহাইডে আয়ারল্যান্ড শুধু জিততে পেরেছে টসই। উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ব্যাটিংয়ে পাঠালেন কিউইদের; যেন ডেকে আনলেন নিজেদের বিপদও।
উদ্বোধনী জুটিতেই লুক রনকি ও টম ল্যাথাম ৭০ রান তুললেন ১০ ওভারেই। ৩১ বলে ৩৫ করে রনকি বোল্ড হয়েছেন ক্রেইগ ইয়াংয়ের বলে।
জুটি ভাঙলেও স্বস্তি মেলেনি আইরিশদের। বরং নিউ জিল্যান্ড পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়েছে আরও চারটি। সময়ের সঙ্গে বেড়েছে রানের গতিও।
দ্বিতীয় উইকেটে নিল ব্রুমকে নিয়ে ল্যাথাম তুলেছেন ৭৫ রান। তৃতীয় উইকেটে রস টেলরের সঙ্গে ল্যাথামের জুটিতে এসেছে ৬৭।
ল্যাথাম পেয়ে যান তার তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ১১১ বলে ১০৪ রানে স্টাম্পড জর্জ ডকরেলের বলে।
টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ফিফটি করে রস টেইলর ফিরেছেন ৫৭ রানে। শেষ দিকে চলেছে তাণ্ডব।
ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটি রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মানরো। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ১৫ বলে ৪৪ রানে। মেরেছেন ৩ চার ও ৪ ছক্কা। ৯ বলে অপরাজিত ২০ মিচেল স্যান্টনার।
এই দুজনের খুনে ব্যাটিংয়ে শেষ ৬ ওভারেই কিউইরা তোলে ১০২ রান!
ম্যাচের উত্তেজনা শেষ আসলে প্রথম ইনিংস শেষেই। আইরিশদের ব্যাটিংয়েও ছিল অসহায় আত্মসমর্পণ।
আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান পল স্টার্লিং টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বিদায় শূন্য রানেই। দ্বিতীয় উইকেটে এড জয়েস ও পোর্টারফিল্ড ৫১ রানের জুটি গড়েছেন। এরপর শুধুই আসা-যাওয়ার মিছিল। শেষ জুটিতে কোনো রকমে ছাড়াতে পারে তা দেড়শ।
আইপিএল ফেরত ম্যাট হেনরি নিয়েছেন ৩ উইকেট। অভিষেকে ৩ উইকেট নেওয়া পেসার স্কট কাগেলেইন দ্বিতীয় ম্যাচেও নিয়েছেন দুটি।
বুধবার ত্রিদেশীয় শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে নিউ জিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৪৪/৬ (রনকি ৩৫, ল্যাথাম ১০৪, ব্রুম ৩৮, টেইলর ৫৭, অ্যান্ডারসন ২০, স্যান্টনার ২০*, মানরো ৪৪*, মিল্ন ১০*; ইয়াং ২/৮২, চেইস ২/৬৯, ডকরেল ১/৬৫, ম্যাককার্থি ১/৬৫, সিমি ০/৩৮, স্টার্লিং ০/১৯)।
আয়ারল্যান্ড: ৩৯.৩ ওভারে ১৫৪ (জয়েস ১৭, স্টার্লিং ০, পোর্টারফিল্ড ৪৮, বালবার্নি ০, নায়াল ও’ব্রায়েন ৫, উইলসন ৩০, সিমি ০, ডকরেল ১৬, ম্যাককার্থি ১৬*, ইয়াং ১, চেইস ১৪; হেনরি ৩/৩৬, মিল্ন ১/২৯, অ্যান্ডারসন ২/১৫, কাগেলেইন ২/১৭, স্যান্টনার ১/২৭, সোধি ১/২৫)।
ফল: নিউ জিল্যান্ড ১৯০ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: টম ল্যাথাম