ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ১২৯ রানে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। জুনায়েদের সেঞ্চুরিতে ব্রাদার্স তুলেছিল ২৭৬ রান। ইফতেখার সাজ্জাদ চার উইকেট নিয়ে মোহামেডানকে গুটিয়ে দেন ১৪৭ রানে।
বিকেএসপিতে আধঘণ্টা পরে শুরু ম্যাচ নেমে আসে ৪৯ ওভারে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ব্রাদার্স শুরুতে হারায় মিজানুর রহমানকে। দ্বিতীয় উইকেটে অভিষিক্ত মোহাম্মদ রুবেলকে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন জুনায়েদ।
ব্রাদার্সে সেরা জুটি এরপরই। অধিনায়ক অলক কাপালী ও জুনায়েদ চতুর্থ উইকেটে ঠিক ১০০ রানের জুটি গড়েন ৯৪ বলে।
এবারের লিগে দশম ম্যাচে এসে প্রথম অর্ধশতকের দেখা পেলেন অলক। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান করেছেন ৪৮ বলে ৫১।
শেষ দিকে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে তিনশ ছোঁয়া হয়নি ব্রাদার্সের। তবে ২৭৭ রানের লক্ষ্যই মোহামেডানের জন্য হয়ে ওঠে অনেক দূরের পথ।
একসময় যদিও পথেই ছিল মোহামেডান। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৭ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন সৈকত আলি ও অভিষেক মিত্র। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পরই নাটকীয় ধসে গুঁড়িয়ে যায় মোহামেডান।
৬৬ বলে ৭০ রান করে আউট হন ওপেনার সৈকত। দলের রান তখন ১০৩। এরপর আর কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। ৪৪ রানেই হারিয়ে ফেলে তারা ৯ উইকেট। অফ স্পিনে ১৯ রানেই ৪ উইকেট নেন ইফতেখর সাজ্জাদ রনি।
এই হারে আবারও খানিকটা ঝুঁকিতে পড়ে গেল মোহামেডানের সুপার লিগ। ১০ ম্যাচে ৬ জয়ে মোহামেডান এখন ৬ নম্বরে। সমান ম্যাচে ব্রাদার্স জিতেছে চারটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ব্রাদার্স: ৪৯ ওভারে ২৭৬/৮ (মিজানুর ১১, জুনায়েদ ১১০, মইন ৩৬, অলক ৫১, মাইশুকুর ৮, বিসলা ২৬, ধিমান ১২, সাদ্দাম ৮, কাজি কামরুল ১১*, নিহাদ ২*; সাজেদুল ২/৬২, শামসুর ১/৩৪, তাইজুল ২/৪১, এনাম জুনিয়র ২/৫২, আসালাঙ্কা ০/২৮)।
মোহামেডান: ৩৫.৪ ওভারে ১৪৭ (শামসুর ১, সৈকত ৭০, অভিষেক ২৯, আসালাঙ্কা ৭, রকিবুল ১৭, রনি ৩, জাবিদ ৫, তাইজুল ০, রাব্বি ৬*, এনামুল ৪, সাজেুদুল ব্যাট করেননি; সাদ্দাম ০/২০, মাইশুকুর ০/৮, নিহাদ ২/৩১, অলক ০/২৮, কামরুল ২/৩১, বিসলা ০/৯, ইফতেখার ৪/১৯)।
ফল: ব্রাদার্স ১২৯ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: জুনায়েদ সিদ্দিক