থামানোর মতো প্রতিপক্ষ দেখছেন না ডি ভিলিয়ার্স!

আইসিসির টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের একমাত্র সাফল্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সেই শুরুর আসরে; যদিও তখন নাম ছিল আইসিসি নক আউট বিশ্বকাপ। বলা হতো মিনি বিশ্বকাপও। বাংলাদেশের পাওয়া সেই সাফল্যের পরও পেরিয়ে গেছে দেড় যুগ। খরা কাটানোর আশায় আবার আরও একটি টুর্নামেন্টে যাচ্ছে দক্ষিন আফ্রিকা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2017, 05:06 AM
Updated : 17 May 2017, 05:06 AM

এবি ডি ভিলিয়ার্সের নেতৃত্বে দল মঙ্গলবার দেশ ছেড়েছে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হলেও সফর অনেক লম্বা। ২৪ মে থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ওয়ানডের পর্ব শেষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি, এরপর চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সব মিলিয়ে ১২ সপ্তাহের সফর!

তবে আপাতত মূল লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সেই লক্ষ্য পূরণে দারুণ আত্মবিশ্বাসী গোটা দল। দেশ ছাড়ার আগে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলছেন, তার দল সব দিক থেকেই পরিপূর্ণ। ডি ভিলিয়ার্স তো আরও এক ধাপ এগিয়ে। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকাকে থামানোর মতো প্রতিপক্ষই দেখছেন না অধিনায়ক।

“গ্রুপে আমাদের খুব ভালো সম্ভাবনা দেখছি আমি। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি, আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, গ্রুপে আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। গত কয়েক বছর ধরে আমরা দারুণ ক্রিকেট খেলছি। হতাশার ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে আমরা নিজেদের মানদণ্ড ওপরে তুলে নিয়েছি। দারুণ ফলাফল উপহার দিয়েছি।”

গ্রুপ পর্বে এবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ উপমহাদেশের তিন দল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ডি ভিলিয়ার্সের টগবগে আত্মবিশ্বাসের আরেকটা কারণ নিজেদের দলীয় শক্তিও। দলের ব্যাটিং লাইনআপ থিতু ও দুর্দান্ত। ওপেনিংয়ে হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক, এরপর ফাফ দু প্লেসি, ডি ভিলিয়ার্স, জেপি দুমিনি ও ডেভিড মিলার।

ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের জন্য আছে চার-চার জন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সঙ্গে কাগিসো রাবাদা ও মর্নে মর্কেলকে নিয়ে দুর্দান্ত পেস আক্রমণ। স্পিনে কেশব মহারাজের উত্থান এসেছে বড় স্বস্তি হয়ে।

সব মিলিয়ে ডি ভিলিয়ার্স-ডমিঙ্গোদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবাড়ি নয়। অন্যতম ফেবারিট হয়েই যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেটি তারা প্রায় আইসিসি টুর্নামেন্টেই থাকে। আরও একবার তাই সম্ভাবনার প্রতিফলন মাঠে রাখার চ্যালেঞ্জ।