গুলশানে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পর ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিদর্শকের পরামর্শে সফরে আসে ইংল্যান্ড। সিরিজ জুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা।
কোনো ঝামেলা ছাড়াই শেষ হয় ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর। অ্যালেস্টার কুক, জস বাটলারদের সফর দেখতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের নিরাপত্তা প্রধান ক্যারলকে পাঠিয়েছিল সে সময়।
আইসিসি সভায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ডেভিড পিভার বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারটি মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেন। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে দুই দিনের সফরে আবার এসেছেন ক্যারল। জুলাইয়ের শুরুতে আবার আসবেন তিনি, সে সময় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আরও কয়েক জন প্রতিনিধি থাকবেন তার সঙ্গে।
এবারের সফরে অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশন, আইজিপি শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ক্যারল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও বৈঠক করবেন তিনি।
“জুলাই-অগাস্টে যেন সিরিজ সফলভাবে হতে পারে তার জন্য আমরা এক সঙ্গে কাজ করছি। এর আগে ইংল্যান্ড দলকে যে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, সেটা দেখে আমি খুবই সন্তুষ্ট। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নিশ্চিত হতে এসেছি।”
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ইংল্যান্ড দলকে যে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল তা পাবে অস্ট্রেলিয়া দলও।
“তার বাইরেও যদি বাড়তি কিছু দিতে হয়, আইজিপি তা দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। আমরা যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা দিয়েছি তাতে তারা খুবই খুশি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধাগুলো দেখতে সশরীরে এসেছেন। তারা বাড়তি কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনও চাননি। মূলত এখানে এসেছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা দেখতেই।”
ক্যারলের সবুজ সংকেতের ওপরই নির্ভর করবে অস্ট্রেলিয়ার দুই টেস্টের বাংলাদেশ সফর।
২০১৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল স্টিভেন স্মিথের দলের। নিরাপত্তা শঙ্কায় শেষ মুহূর্তে সফর স্থগিত করে দেশটি। বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আসেনি তারা।
একই ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে গত বছরের শুরুতে বাংলাদেশে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি অস্ট্রেলিয়া। সফলভাবেই শেষ হয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ।
২০০৬ সালের পর কোনো টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করেনি অস্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ ২০১১ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিল তারা।