আয়ারল্যান্ড সফরে জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন গাজী গ্রুপের নিয়মিত অধিনায়ক নাসির হোসেন। ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে ফিরে আসবেন তিনি। পেসার শফিউল ইসলাম আছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও।
বর্তমান অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরী, জহুরুল ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী শুভ এক সময়ে দেশের হয়ে খেলেছেন। দুই তরুণ আবু হায়দার ও এনামুলেরও আছে জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আগেই জায়গা হারিয়েছেন মুমিনুল হক। শ্রীলঙ্কা সফরে দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে জায়গা হয়নি বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের।
জহুরুল-মুমিনুলদের গাজী গ্রুপই এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারেনি। ৮ ম্যাচে অষ্টম জয়ে সবার আগে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে তারাই। শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সতীর্থদের লড়াই নিয়ে বলছিলেন এনামুল।
“মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমরা বাদ পড়া কিছু খেলোয়াড় আছি এই দলে। (মুমিনুল) সৌরভ ভাই, নাসির ভাই, (হায়দার) রনি- জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এমন কিছু খেলোয়ড় এক দলে খেলছি। একই বয়সের অনেকে এক সঙ্গে থাকায় অনেক মজা হয়, আড্ডা হয়।”
“জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন সবার থাকে। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ আমাদের সেরা ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। এখানে ভালো করলে ওয়ানডে দলে ফেরার ভালো সম্ভাবনা থাকেই। সবাই এখানে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে।”
কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের অধীনে দলটি নিজেদের মেলে ধরেছে। এনামুল মনে করছেন, দলীয় ঐক্যেই আসছে সাফল্য।
“অনেক গল্প হয়।… সবাই খুব আনন্দের মধ্যে থাকি আমরা। সবাই খুব দুষ্টামি, মজা করা সব সময়ই চলতে থাকে। আমরা সবসময় ফুরফুরে মেজাজে আছি। এক দল হয়ে খেলার যে ইচ্ছা সেটা সবার মাঝেই আছে। দলকে কিছু দেওয়ার মন-মানসিকতা সবার আছে, আমার মনে হয়, এজন্যই দল ভালো ফল করছে।”