ডাবলিনের ম্যালাহাইডে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল পৌনে চারটায় ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না মাশরাফি।
২০১০ সালের পর এই প্রথম আয়ারল্যান্ডে ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। এই সংস্করণে এখানে রেকর্ড খুব একটা ভালো নয় তাদের; তিন ম্যাচ খেলে হেরেছে দুটি, জয় একটিতে।
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ডাবলিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছিল ৭ উইকেটে।
আইরিশদের বিপক্ষে ২০১০ এর সফরে প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৬ উইকেটে।
২০১২ সালে সর্বশেষ আয়ারল্যান্ড সফরে অবশ্য বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে।
এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য নিজেদের সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখতে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে নিজেদের মেলে ধরতে উন্মুখ মাশরাফি।
“আমাদের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। আমরা গত দুই-আড়াই বছর ধরে খুব ভালো খেলেছি। গত শ্রীলঙ্কা সফরেও আমরা ভালো খেলেছি। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি তিন ধরনের ক্রিকেটেই ম্যাচ জিতেছি। আমরা যদি এখানে ভালো করি সেটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য খুব ভালো হবে।”
কন্ডিশনের কথা বিবেচনায় রেখে অনেক আগে ইংল্যান্ডে যায় বাংলাদেশ। সাসেক্সে একটি ক্যাম্প করা দলটি খেলেছে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। আয়ারল্যান্ডেও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে তারা।
কদিন আগেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে আয়ারল্যান্ড। তাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই মাশরাফিদের চেনা। আইরিশ ক্রিকেটারদের সামর্থ্য ভালো করেই জানা আছে অধিনায়কের, তবে তার কাছে মূল হুমকি আয়ারল্যান্ডের কন্ডিশনই।
“এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের বাইরে খেলা যে কোনো দলের জন্য চ্যালেঞ্জিং। আয়ারল্যান্ড ভালো করছে, ওরা জানে নিজেদের কন্ডিশনে কিভাবে খেলতে হবে। এটা কঠিন হতে যাচ্ছে। ওরা ওদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবে, আমাদেরও নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।”
এই সিরিজে র্যাঙ্কিং ভাবনাও আছে বাংলাদেশের অধিনায়কের মাথায়। সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার পথে নিজেদের আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে উন্মুখ তিনি।