রুটের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সিরিজ ইংল্যান্ডের

জো রুটের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রত্যাশিত জয়ে আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষ করেছে ইংল্যান্ড। শুরুতে পথ দেখিয়েছেন অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান, শেষটায় ঝড় তুলেছেন জনি বেয়ারস্টো-আদিল রশিদ। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড কিন্তু অন্যদের খুব একটা সহায়তা না পাওয়ায় ৮৫ রানে হেরেছে তার দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2017, 06:11 PM
Updated : 7 May 2017, 06:22 PM

দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে মর্গ্যানের দল।

লর্ডসে রোববার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩২৮ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ৪৬ ওভার ১ বলে ২৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন পল স্টার্লিং। দেখেশুনে খেলছিলেন অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এড জয়েস। জেইক বল ও মার্ক উড আক্রমণে আসার পর কমে রানের গতি, ম্যাচ থেকে পিছিয়ে পড়তে থাকে আয়ারল্যান্ড।

অতিথিদের দিক হারানোর শুরুর ৪২ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৮ রান করে স্টার্লিংয়ের বিদায় দিয়ে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দলটি।

অনিয়মিত অফ স্পিনার রুটের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে বিনা উইকেটে ৬৮ থেকে আইরিশদের স্কোর দাঁড়ায় ১৫৪/৫। সেখান থেকে আর ম্যাচ ফিরতে পারেনি দলটি।

৮৩ বলে খেলা পোর্টারফিল্ডের ৮২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংসে আড়াইশ রানের কাছাকাছি যায় অতিথিরা।

ম্যাচ সেরা রুট ও প্লানকেট নেন ৩টি করে উইকেট। মার্ক উডের শিকার দুই উইকেট।

এর আগে ৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পাওয়া ইংল্যান্ড ৬০ রানের মধ্যে হারায় অ্যালেক্স হেলস ও জেসন রয়কে। মর্গ্যান-রুটের ১৪০ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে বড় সংগ্রহের ভিত পায় স্বাগতিকরা।

সমান তালে খেলা যাওয়া দুই ব্যাটসম্যান আউট হন কাছাকাছি সময়ে, কাছাকাছি স্কোরে। ৭৩ বলে খেলা রুট ৭৩ রানের ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৮টি চার।

অধিনায়ক মর্গ্যানের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৬ রান। তার ৭৯ বলের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে আছে দুটি ছক্কা। ২৯ রানের মধ্যে এই দুই থিতু ব্যাটসম্যান আর স্যাম বিলিংসের বিদায়ে দৃঢ় ভিতের সুবিধা হারাতে বসেছিল ইংল্যান্ড।

জনি বেয়ারস্টো ও আদিল রশিদের ব্যাটে উড়ে যায় সব শঙ্কা। দুই জনের পাল্টা আক্রমণে দিশেই পাচ্ছিলেন না আইরিশ বোলাররা। ২৫ বলে ৫টি চারে ৩৯ রান করে ফিরেন রশিদ। ৭.৪ ওভার স্থায়ী ষষ্ঠ উইকেটে বেয়ারস্টোর সঙ্গে উপহার দেন ৮৮ রানের জুটি।

শেষ পর্যন্ত ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারস্টো। তার ৪৪ বলের ইনিংস গড়া ৭টি চারে। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের তিনটি ছক্কাই আসে শেষ চারটি স্কোরিং শট থেকে।   

রশিদ-বেয়ারস্টোর তাণ্ডবে শেষ ১০ ওভারে ১০৮ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। সেটাই ম্যাচ ভীষণ কঠিন করে ফেলে আয়ারল্যান্ডের জন্য।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩২৮/৬ (রয় ২০, হেলস ৩২, রুট ৭৩, মর্গ্যান ৭৬, বেয়ারস্টো ৭২*, বিলিংস ৭, রশিদ ৩৯, উইলি ১*; মারটাঘ ১/৫০, চেইস ২/৬৯, কেভিন ০/৭১, ম্যাকার্থি ২/৬১, ডকরেল ১/৫২, স্টার্লিং ০/২১)

আয়ারল্যান্ড: ৪৬.১ ওভারে ২৪৩ (জয়েস ১৬, স্টার্লিং ৪৮, পোর্টারফিল্ড ৮২, বালবারনি ২, নায়াল ১৫, উইলসন ১৩, কেভিন ১৮, ডকরেল ২৮, ম্যাকার্থি ২, মারটাঘ ২, চেইস ৬*; উড ২/৩৮, উইলি ০/২৩, বল ১/৩৮, প্লানকেট৩/২৩, রুট ৩/৫২, রশিদ ১/৬৮)

ফল: ইংল্যান্ড ৮৫ রানে জয়ী

সিরিজ: ইংল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জো রুট