১০৭ রানের জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের পয়েন্ট তালিকায় আপাতত দুই নম্বরে উঠে এসেছে শিরোপাধারী আবাহনী। ৭ ম্যাচে পঞ্চম জয় পেয়েছে দলটি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে রান রেটে পিছিয়ে তিন নম্বরে নেমেছে প্রাইম ব্যাংক।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চার বল বাকি থাকতে ৩০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় আবাহনী। জবাবে ৪৪ ওভার ৫ বলে ১৯৮ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন শানাজ আহমেদ ও মেহেদী মারুফ। দুই জনে ৬ ওভারে তুলেন ৫০ রান। ১৪ বলে ২৫ রান করা শানাজকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, প্রাইম ব্যাংকের দিক হারানোর শুরুও তখন থেকেই।
উদ্বোধনী জুটি ছাড়া অর্ধশতরানের জুটি নেই একটিও। মারুফ-শানাজ ছাড়া প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যান কেবল আল আমিন জুনিয়র।
জাকির হাসান ও রাফাতউল্লাহ মোহাম্মদকে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান শুভাগত। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের তৃতীয় শিকার তাইবুর পারভেজ। শেষ দুই ব্যাটসম্যান নাহিদুল ইসলাম ও আল আমিন হোসেনকে বিদায় করে লিট ‘এ’ ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেন শুভাগত।
শেষের দিকে সালমান হোসেনের অপরাজিত ৬১ রানের ওপর ভর করে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় প্রাইম ব্যাংক।
আগের ম্যাচের ১৯ রানে ৪ উইকেট ছিল শুভাগতর সেরা। এবার ৪৭ রানে পেলেন ৫ উইকেট।
এর আগে বোলারদের বড় পুঁজি এনে দেওয়ার কৃতিত্ব আবাহনীর টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের। সাদমানের সঙ্গে ১৯.৫ ওভার স্থায়ী ১১৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ৬৫ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন লিটন দাস। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ৬৩ বলের ইনিংসটি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় গড়া।
দ্বিতীয় জুটিতে সাইফ হাসানের সঙ্গে ১০১ রানের আরেকটি দারুণ জুটি উপহার দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সাদমান। ৫৩ বলে দুটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫১ রান করে ফিরেন সাইফ।
এক সময়ে আবাহনীর সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ২২০ রান। সেখান থেকে সাড়ে তিনশ রানে নজর ছিল দলটি। শেষের ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ৮৫ রানে শেষ ৯ উইকেট হারায় দলটি।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম তিন অঙ্কের রান পাওয়া সাদমান ১০০ বলে ৯টি চার ও তিনটি ছক্কায় ফিরেন ১০৩ রান করে। চমৎকার এই ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।
শেষের দিকে ১৬ বলে ২৩ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন শুভাগত।
প্রাইম ব্যাংকের আল আমিন ও আরিফুল হক নেন তিনটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী: ৪৯.২ ওভারে ৩০৫ (লিটন ৬৫, সাদমান ১০৩, সাইফ ৫১, নাজমুল ২২, মিঠুন ৬, শুভাগত ২৩, আফিফ ১৪, মানান ৯, সাইফউদ্দিন ১, অনিক ৫, সাকলাইন ২; আরিফুল ৩/৫৮, নাহিদ ১/৬৪, আল আমিন ৩/৪৭, রাফাতউল্লাহ ০/২৭, তাইবুর ০/৪৫, আল আমিন জুনিয়র ০/২৬, সালমান ২/৩৮)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৪.৫ ওভারে ১৯৮ (মারুফ ৩১, শানাজ ২৫, জাকির ০, রাফাতউল্লাহ ০, আল আমিন জুনিয়র ৩১, আসিফ ৭, তাইবুর ৪, সালমান ৬১, আরিফুল ১৮, নাহিদ ১২, আল আমিন ০; মানান ২/৪১, সাইফউদ্দিন ১/৪১, শুভাগত ৫/৪৭, অনিক ১/২৫, সাকলাইন ১/২৮, আফিফ ০/১৫)
ফল: আবাহনী ১০৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাদমান ইসলাম