আগের দুই ম্যাচে হারা আবাহনী জিতেছে ৭ উইকেটে। ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে এতে সবচেয়ে বড় অবদান অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শুভাগতর।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ ওভার ৫ বলে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় কলাবাগান। জবাবে ৩০ ওভার ২ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী।
পাশের মাঠে কম রানে মোহামেডানকে বেধে রেখেও জিততে পারেনি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। সেই ভুল করেনি আবাহনী।
একটি চার আর দুটি ছক্কায় ২০ রান করে ফিরেন লিটন দাস। ৪৩ বলে তিনটি চারে ২০ রান করেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম।
আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক সাইফ। ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৬২ বলে খেলেন ৬১ রানের চমৎকার এক ইনিংস।
দ্রুত রান সংগ্রহের দিকে নজর ছিল নাজমুল হোসেন শান্তরও। শুরু থেকেই চড়াও হওয়া অধিনায়ক মিঠুন মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে। প্রতিপক্ষের দেওয়া লক্ষ্যে আবাহনী পৌঁছে যায় ১১৮ বল বাকি থাকতে।
নেতৃত্ব বদলের দিনটিতে শুরু থেকে শেষ- কোনো কিছুই পক্ষে যায়নি কলাবাগানের। টস হার দিয়ে শুরু মোহাম্মদ আশরাফুলের জায়গায় নেতৃত্ব পাওয়া তুষার ইমরানের। শেষ একপেশে ম্যাচে হার দিয়ে।
দলের সর্বোচ্চ রান তুষারেরই। মন্থর ব্যাটিংয়ে তিনটি চারে করেছেন ৩৬ রান। হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ রান। এর বাইরে বিশ পার করতে পেরেছেন কেবল মুক্তার আলী।
শুরুতে মেহরাব হোসেন জুনিয়র ও জসিম উদ্দিনের উইকেট নেওয়া শুভাগত মাঝে বিদায় করেছেন তুষারকে। অফ স্পিনারের শেষ শিকার চড়াও হতে যাওয়া মুক্তার আলী।
দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন ও মানান শর্মা। বোলাররা লক্ষ্যটা হাতের নাগালে রাখার পর বাকিটা সহজেই সেরেছেন আবাহনীর ব্যাটসম্যানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র: ৪৫.৫ ওভারে ১৫৬ (মেহরাব জুনিয়র ৯, তাসামুল ৪, জসিম ১৩, মাসাকাদজা ৩১, তুষার ৩৬, আশরাফুল ৭, মোসাব্বেক ২, মুক্তার ২২, হাসান ১৩, সঞ্জিত ২*. নাবিল ১; সাইফউদ্দিন ২/২৬, অনিক ১/২২, শুভাগত ৪/১৯, সাকলাইন ১/২১, আফিফ ০/২৩, মানান ২/৩০, নাজমুল ০/৬)
আবাহনী: ৩০.২ ওভারে ১৬১/৪ (লিটন ২০, সাদমান ২০, সাইফ ৬১, নাজমুল ২৪, মিঠুন ৩০*, আফিফ ২; নাবিল ১/৩৪, মোসাব্বক ০/২০, সঞ্জিত ০/১৯, হাসান ২/২০, মুক্তার ০/১৪, মেহরাব জুনিয়র ০/১৯, আশরাফুল ১/১৬, তুষার ০/১৯)