ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বিকেএসপিতে ভিক্টোরিয়াকে ১৫৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে মোহামেডান জিতেছে ২০ ওভার বাকি রেখেই।
ভিক্টোরিয়ার শুরুটা খারাপ ছিল না। উদ্বোধনী জুটিতে রুবেল মিয়া ও নাসিরুদ্দিন ফারুক তোলেন ৩৩ বলে ৩৮ রান। কিন্তু এনামুল ও তাইজুলের বাঁহাতি স্পিন আক্রমণে দিশাহারা ভিক্টোরিয়ান ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেননি। উদ্বোধনী জুটিই হয়ে থাকে ইনিংসের সেরা জুটি! ভিক্টোরিয়া অলআউট ১০ ওভার আগেই।
প্রথম দুটিসহ তাইজুল নিয়েছেন চার উইকেট। আগের ম্যাচে তিন উইকেটের পর এবারও এনাম জুনিয়রের উইকেট তিনটি। তবে আসল চমক ছিল শামসুর রহমানের বোলিং। পার্ট-টাইমার হয়েও টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং করলেন ১০ ওভার, উইকেট এবার দুটি!
শামসুর পরে সফল নিজের আসল কাজেও। রান তাড়ায় দ্বিতীয় বলেই মোহামেডন হারিয়েছিল ওপেসার সৈকত আলিকে। কিন্তু শামসুরের ব্যাট জিততে একটুও বেগ পেতে হয়নি দলকে।
রনি তালুকদার ও রকিবুল হাসান সঙ্গ দিয়েছেন খানিকটা। শামসুর কাজ শেষ করেছেন অভিষেক মিত্রকে নিয়ে। চতুর্থ উইকেটে ৫০ বলে ৭২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন।
২৫ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত অভিষেক। আর ৭৭ বলে অপরাজিত ৭৪ শামসুর। ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারে অনেকবার আলো ছড়ালেও এবার ম্যাচ সেরা ব্যাটে-বলের পারফরম্যান্সে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভিক্টোরিয়া: ৪০ ওভারে ১৫৪ (রুবেল ৪২, ফারুক ১২, মাহবুব ১, বিস্ট ২১, হৃদয় ১২, মইনুল ২৭, মনির ৫, অমি ১৪, শাদ ০, মাহবুবুল ১২, ইসলামুল ২*; কামরুল রাব্বি ০/১৭, আজিম ১/৩৫, তাইজুল ৪/৩৭, শামসুর ২/৩০, এনাম জুনি. ৩/৩১)।
মোহামেডান: ৩০ ওভারে ১৫৮/৩ (সৈকত ০, রনি ১৯, শামসুর ৭৪*, রকিবুল ২০, অভিষেক ৩৯*; মাহবুবুল ১/৩৮, মইনুল ১/৪৮, মনির ১/১৯, শাদ ০/২১, ইসলামুল ০/২০, বিস্ট ০/১২)।
ফল: মোহামেডান ৭ উইকেট জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: শামসুর রহমান