গত অক্টোবরেই বাংলাদেশে টেস্টে অভিষিক্ত আনসারি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন তিন টেস্ট ও একটি ওয়ানডে। পাশাপাশি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও সারের হয়ে খেলেছেন ৭১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। তিন সেঞ্চুরিতে রান তিন হাজার ৯। বাঁহাতি স্পিনে উইকেট ১২৮টি।
কেমব্রিজের সঙ্গে তার ক্রিকেটের বাইরের ক্যারিয়ার। বরাবরই মেধাবী ছাত্র আনসারি কেমব্রিজের ‘ডাবল ফার্স্ট’ রাজনীতি ও সমাজ বিজ্ঞানে। পড়াশোনা, গবেষণার প্রতি প্রবল ঝোঁক তার। পিয়ানো বাজাতে পারেন দারুণ। পেশাদারী ক্রিকেটের পাশাপাশি এসবও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এবার একটি ছাড়তেই হলো।
ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত যে সহজ ছিল না, সেটি অবশ্য বলছেন ঠিকই। প্রিয় কাউন্টি সারের প্রতি ভালোবাসাও ফুটে উঠেছে বারবার।
“সাত বছরের পেশাদারী ক্যারিযার ও খেলাটার সঙ্গে প্রায় দুই দশক কাটানোর পর ক্যারিয়ারের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্তটি ছিল খুবই কঠিন। আমি এটি মোটেও হালকাভাবে নেইনি। আট বছর বয়সে সারের হয়ে খেলতে শুরু করেছি। তখন থেকেই এই ক্লাব আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিদায় বলাটা তাই ভীষণ কষ্টের। তবে সবসময়ই বলেছি সময় হলেই চলে যাব। সেই সময় এসেছে।”
আনসারি জানালেন, ক্রিকেট ছাড়ার পর সম্ভবত বেছে নেবেন আইন পেশা।