ছোট লক্ষ্য তাড়ায় জয়টা অনায়াস হয়েছে সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত ইনিংসে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
এবারের লিগে প্রাইম ব্যাংকের এটি টানা তৃতীয় জয়। তিন ম্যাচে মোহামেডান হারল দুটি।
ফতুল্লায় টস হেরে ব্যাটিয়ে নামা মোহামেডানের হয়ে যা একটু রান করেছেন ওই তামিমই। আগের ম্যাচে ১৫৭ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলা ওপেনার এবার করেছেন ৪৬।
তামিম উইকেটে থাকা পর্যন্ত ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল মোহামেডান। শামসুর রহমান ও রনি তালুকদার দ্রুত ফিরে গেলেও রহমত শাহকে নিয়ে দলকে টানছিলেন তামিম।
১৯ ওভারে যখন রান ২ উইকেটে ৬৭, বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। ম্যাচ নেমে আসে ৪১ ওভারে। এরপরই বদলে যায় দৃশ্যপট। বদলে দেন আল আমিন।
তামিমকে দিয়েই আল আমিনের শিকার শুরু। ৬৭ বলে ৪৬ করে ফিরেছেন মোহামেডান অধিনায়ক। এরপর গড়ে ওঠেনি আর কোনো জুটি। আল আমিনের স্পিনে মোহামেডান উইকেট হারায় নিয়মিত। শেষ ৮ উইকেট পড়েছে ৫৫ রানে।
মূলত সময়ের অন্যতম সেরা প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাটসম্যানদের একজন হলেও বোলিং দিয়ে প্রায়ই নজর কাড়ছেন আল আমিন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৫ উইকেট নিলেন এই নিয়ে দুবার।
শেষ দুটি উইকেট নেন আরেক আল আমিন। জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার আল আমিন হোসেন। মোহামেডান গুটিয়ে যায় ১৪২ রানে।
তবে দারুণ সব শটে চাপটা পেয়ে বসতে দেননি সাব্বির। ভারতীয় উন্মুক্ত চাঁদ খানিকটা সঙ্গ দিয়েই ফিরে যান। কিন্তু তাইবুর পারভেজকে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সাব্বির।
৫ ছক্কায় ৭৫ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত সাব্বির। তাইবুর অপরাজিত ৫০ বলে ৪২ রানে। প্রাইম ব্যাংক জিতে যায় ৮০ বল বাকি রেখেই!
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যান অব দা ম্যাচ আল আমিন। আগের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের জন্য, এবার বোলিং!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান: ৩৬.১ ওভারে ১৪২ (তামিম ৪৬, শামসুর ১৩, রনি ৭, রহমত ২৪, রকিবুল ১২, মিলন ১২, মিরাজ ১, তাইজুল ৭, রাব্বি ২, এনাম জুনিয়র ৩, শুভাশীষ ৩*; আল আমিন হোসেন ২/২৬, রুবেল ১/১৫, সৌম্য ১/২৪, আরিফুল ১/২৫, আল আমিন ৫/২৫, নাজমুল অপু ০/২১)।
প্রাইম ব্যাংক: ২৭.৪ ওভারে ১৫০/৩ (লক্ষ্য ৪১ ওভারে ১৪৯) (মারুফ ৭, সৌম্য ২, সাব্বির ৭৮*, চাঁদ ১৪, তাইবুর ৪২*; মিরাজ ০/২৯, তাইজুল ১/৩৭, শুভাশীষ ১/৩৯, এনাম জুনিয়র ১/১৫, কামরুল রাব্বি /১৭, রহমত ০/১২)।
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: আল আমিন