মুক্তারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে কলাবাগানের জয়

মুক্তার আলীর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে দারুণ এক জয় পেয়েছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2017, 12:02 PM
Updated : 21 April 2017, 12:02 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে কলাবাগানের প্রথম জয়টি ১০ রানের।

৪২ রানে ২ উইকেট নেওয়ার আগে মুক্তার ২৭ বলে অপরাজিত ৫২ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৫৯ রান করে কলাবাগান। জবাবে ৯ উইকেটে ২৪৯ রানে থামে ভিক্টোরিয়া।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ভিক্টোরিয়ার। ১৯তম ওভারে ৬১ রানে হারিয়ে ফেলে চার উইকেট। দলের সংগ্রহ একশ পার হওয়ার পর ফিরে যান নাসিরুদ্দিন ফারুক। ৫৮ রান করতে এই অভিজ্ঞ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান খেলেন ৮৪ বল।

১২৮ রানে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারানো দলটিকে লড়াইয়ে ফেরান ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করা শফিউল ও মইনুল। ১৭ ওভারে এই দুই জনে গড়েন ১০৯ রানের জুটি। দুই জনেই পান লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের প্রথম অর্ধশতক।

জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে ভিক্টোরিয়ার প্রয়োজন ছিল ৬৫ রান। সালেহ আহমেদ শাওনের এক ওভারে ২০ রান নিয়ে সমীকরণটা সহজ করে ফেলেছিলেন দুই তরুণ। কিন্তু পরের ওভারের শুরুতে শফিউলের বিদায়ে ম্যাচ থেকে দূরে সরে যায় দলটি।

১৯ বছর বয়সী শফিউল ফিরেন ৬৪ রান করে। তার ৮১ বলের ইনিংসটি গড়া ৬টি চার ও দুটি ছক্কায়। পরের ওভারে তাকে অনুসরণ করেন ২০ বছর বয়সী মইনুল। ৫৭ বলে তিনটি করে ছক্কা ও চারে ৭৫ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেও ফিরেন একরাশ হতাশা নিয়ে।

শেষ ২ ওভারে দলটির দরকার ছিল ২২ রান। সেই রান করতে পারেননি ভিক্টোরিয়ার টেলএন্ডার ব্যাটসম্যানরা।

শেষের দিকে দারুণ বোলিং করা আবুল হাসান ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজার জয়ে রয়েছে বড় অবদান। তবে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মুক্তার।

মুক্তারকে শেষের ঝড় তোলার ভিত গড়ে দিয়েছিলেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র ও তুষার ইমরান। তৃতীয় উইকেটে দুই জনে গড়েছিলেন ৯৬ রানের জুটি। তিনটি করে ছক্কা-চারে ১০৮ বলে ৬৩ রান করে ফিরেন মেহরাব জুনিয়র।

তাসামুল হকের সঙ্গে ৫৭ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়ে বিদায় নেন তুষার (৮৬ বলে ৫৬)। এসেই চড়াও হন মুক্তার, তাসামুলও ছিলেন রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায়। দুই জনে ৪.৪ ওভারে গড়েন ৪৬ রানের জুটি।

৩৯ বলে ৪৪ রান করে তাসামুল ফেরার পর প্রায় একার চেষ্টায় দলকে আড়াইশ রানে নিয়ে যান মুক্তার। শেষ ১১ বল একাই খেলেন তিনি, সে সময়ে আসে ২৩ রান। সেই রানই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কলাবাগান ক্রীড়া চক্র: ২৫৯/৬ (মেহরাব জুনিয়র ৬৩, আশরাফুল ১০, মাসাকাদজা ১১, তুষার ৫৬, তাসামুল ৪৪, মুক্তার ৫২*, হাসান ১, সঞ্জিত ০*; মাহবুবুল ০/৫৮, আরাফাত ০/২১, মনির ২/৪৬, মইনুল ১/৩৭, মাহবুব ০/২০, উত্তম ০/১২, আশিক ১/৩২, সিলভা ১/২৫)

ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৪৯/৯ (সায়েম ১, ফারুক ৫৮, আরাফাত ১৪, উত্তম ৩, সিলভা ২, হায়াত ৬৪, মইনুল ৭৫, মাহবুব ৪, মাহবুবুল ২, মনির ৯*, আশিক ৪*; হাসান ২/৩১, নাবিল ১/১৮, তুষার ০/৬, সঞ্জিত ০/৪০, আশরাফুল ১/১৩, শাওন ০/৫২, মুক্তার ২/৪২, মাসাকাদজা ২/৪৩)

ফল: কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ১০ রানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুক্তার আলী